চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি না হওয়ায় কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। সদর ও হাজীগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে, কৃষকরা অবিক্রিত কুমড়াগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে বিক্রি করছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্যানুসারে, চাঁদপুরের সদর, হাজীগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ ও উত্তরে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ দ্বিগুণ হওয়ায় চাহিদার তুলনায় যোগান বেড়ে গেছে, ফলে পাইকাররা আগের মতো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কৃষকরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছর এই সময়ে তাদের সব কুমড়া বিক্রি হয়ে যেত এবং লাভজনক দাম পাওয়া যেত, তবে এবার পাইকারের অভাবে ফসল মাঠেই নষ্ট হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার আশিকাটি, দেবপুর ও চানখার দোকানে কৃষকরা কুমড়া বিক্রি করতে না পেরে গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে কম দামে বিক্রি করছেন। হাজীগঞ্জের কৃষকরা স্থানীয় বাজারে বিক্রির চেষ্টা করলেও চাহিদার অভাবে বড় কুমড়া মাত্র ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে সড়কের পাশে কুমড়া সাজিয়ে রাখলেও ক্রেতা না থাকায় তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম জানান, এ বছর উপজেলায় ৬১৮ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। উৎপাদন ভালো হলেও পাইকারের অভাবে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন, "আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি বিভিন্ন বাজারে নিয়ে গিয়ে কুমড়া বিক্রি করতে, যাতে অন্তত কিছুটা লাভ পাওয়া যায়।"

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদপুরে এবার ১,১৩৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে এবং মোট উৎপাদন হয়েছে ২৪,৯৭১ টন। তবে অধিক ফলনের কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান বেড়ে গিয়ে দাম কমে গেছে, ফলে কৃষকরা আর্থিক সংকটে পড়েছেন।