ঘরের আড়ায় এক ওড়নায় মা, আরেকটায় ঝুলছিল শিশুর লাশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩০ এএম
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বসতঘরের আড়ায় এক ওড়নায় গৃহবধূ মরিয়ম আক্তার (২৫) ও আরেকটি ওড়নায় তার চার বছর বয়সী ছেলে আয়ান মোহাম্মদের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের উত্তর বড়ডহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মরিয়ম আক্তার ওই গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিনের স্ত্রী। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে। তবে এ সময় মরিয়মের স্বামী কুতুব উদ্দিনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুতুব উদ্দিনের স্থানীয় সমাই বাজারে বৈদ্যুতিক সামগ্রীর একটি দোকান রয়েছে। প্রায় চার বছর আগে মরিয়মের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারা টিনশেডের আধা পাকা একটি ঘরে বসবাস করতেন। বাড়ির আশপাশের ঘরগুলোয় কুতুব উদ্দিনের পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকেন।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পাশের ঘরের লোকজন মরিয়মকে ডাকাডাকি করেন। সে সময় ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তাঁরা ঘরের আড়ার সঙ্গে দুটি ওড়নায় মরিয়ম ও শিশু আয়ানের লাশ ঝুলতে দেখেন। তখন কুতুব উদ্দিন দোকানে ছিলেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মরিয়মের স্বামী কুতুব উদ্দিনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, ঘরের আড়ায় পাশাপাশি দুটি ওড়নায় মা ও সন্তানের লাশ ঝুলতে দেখা গেছে। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় দুজনের শরীরে ফাঁসের আঘাত ছাড়া অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সন্তানকে ফাঁস লাগানোর পর মরিয়ম নিজেও ফাঁস দিতে পারেন। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনাস্থলে মরিয়মের স্বামীকে পাওয়া যায়নি।
এসআই নাসির উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মা ও ছেলের লাশ মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।



