রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০২ পিএম
রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে শীতের অনুভূতি বেড়েছে কয়েকগুণ, কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে সূর্যোদয় হলেও প্রায় ৮টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে যায়। সড়কে ফগ লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে যানবাহনগুলোকে। সূর্যের দেখা না পাওয়ায় হিমেল বাতাসে মানুষ কার্যত কাবু হয়ে পড়ে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, ফলে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় শীতের অনুভূতি আরও বাড়ছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি।
শীতের এই দাপটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষজন। কনকনে ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর ছাড়তে হচ্ছে তাদের। এরই মধ্যে ফুটপাত ও বাজারগুলোতে গরম কাপড়ের কেনাবেচা বেড়ে গেছে।
চারঘাট থেকে নগরীর বিনোদপুর বাজারে কাজে আসা শরিফ ইসলাম বলেন, “প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়েছে। ভোরে কাজে বের হতে খুব কষ্ট হয়। কাজ না করলে সংসার চলবে না। শরীরে কয়েক স্তর কাপড় পরেও ঠাণ্ডা কমছে না।”
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক সাগর আলী বলেন, “সোয়েটার আর জ্যাকেট পরেও শীত যাচ্ছে না। রাস্তায় লোকজনও কম, কাজের চাপ কমে গেছে। এই ঠাণ্ডায় কাজ করতে মন চায় না।”
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী তারেক আজিজ জানান, জেলায় বর্তমানে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে এবং বাতাসের আর্দ্রতা শতভাগ রয়েছে, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে তুলছে।



