শহীদ হাদির রুহের মাগফেরাত কামনায় কিশোরগঞ্জে দোয়া মাহফিল
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম মহানায়ক শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফেরাত কামনায় কিশোরগঞ্জে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আদর্শের সৈনিক ইয়াজ ইবনে জসিম।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল মুক্ত মঞ্চে আসরের নামাজের পর এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে মহান আল্লাহর কাছে ওসমান হাদির আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন হারুয়া কুর্টিগিদ্দি জামে মসজিদের খতিব আশরাফ আলী। একই সঙ্গে আল্লাহ যাতে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণের শক্তি দেন- মোনাজাতে এই দোয়া করা হয়।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, এনসিপি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সংগঠক ইকরাম হোসাইন, সংগঠক ফয়সাল প্রিন্স, সদস্য সচিব বাবু, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সম্পাদক রাতুল নাহিদ ভূইয়া, সংগঠক উৎস সরকার, সংগঠক আদিফুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আয়াতুল্লাহ, ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই কিশোরগঞ্জের সদস্যসচিব আশরাফুল ইসলাম নাদিম, রোজিনা আক্তার পলি, যুবশক্তি কিশোরগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব মো : জুবায়ের, ছাত্রশক্তির সংগঠক সাব্বিরুল হক তন্ময়, অনিক, অফি, রউজা ও ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। দোয়া মাহফিল শেষে আগত শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আমাদের ভাই শরিফ ওসমান হাদি শাহাদাত বরণ করেছেন। এদিন আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি।
তারা আরও বলেন, হাদি ভাইকে যারা গুপ্তহত্যার মাধ্যমে বিদায় করেছে, সেই আধিপত্যবাদী ও ফ্যাসিবাদীদের বাংলাদেশ থেকে নির্মূলের দাবি করছি। ওসমান হাদির স্মৃতি রক্ষার্থে এবং তার দেখানো পথে অবিচল থাকতে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। তাকে প্রথমে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে একটি অপারেশন শেষে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেদিন দুদিন চিকিৎসার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য হাদিকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পরদিন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় দেশে আনা আসে হাদির মরদেহ। রাখা হয় হাসপাতালের হিমঘরে। শনিবার সংসদ ভবনের সামনে তার ঐতিহাসিক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন বিকেলে তাকে শাহবাগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।



