তিতাস নদীতে পানি আছে, নেই মাছ
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তিতাস নদীতে দেড় শতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে জালের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এ কারণে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং সাধারণ জেলেরা মাছ শিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও ডিসেম্বর মাস থেকে তিতাস নদীতে মাছ শিকারের নামে অবৈধভাবে জালের বেড়া দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ তিতাস নদীর দুই শতাধিক স্থানে এই জাল পাতা হয়েছে।
বিশেষত তিতাস মোহনার ঢোলভাঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থানে আড়াআড়িভাবে ২৫০-৩০০ ফুট লম্বা জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে স্পট লাইট ফিশিং পদ্ধতি। যা জলজ প্রাণী বিলীন করে দিচ্ছে। ফলে বাঞ্ছারামপুরের তিতাস নদী থাকলেও নেই মাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নীলখী, সাহেবনগর, শিবপুর, দুর্গারামপুর এবং আছাদনগরের মতো এলাকার নদীপথে জালের বেড়ার কারণে নৌযান চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে। নদীর অবৈধ মাছের ঘের মাছ নির্মূলে অন্যতম কারণ বলে মনে করে এলাকাবাসী। তারা বলছে, যে যত প্রভাবশালী, তার ঘের তত বেশি।
সাধারণ জেলেরা বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীর সম্পদ দখল করে মাছ শিকার করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা তো মাছ ধরতে পারি না। যারা টাকা-পয়সাওয়ালা, তারাই সব দখল করে নিয়েছে।
দুই উপজেলার দায়িত্বে থাকা (বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর) উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আক্কাস আলীর বলেন, নদীতে জালের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি জেনেছি এবং খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, ‘নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা অপরাধ। মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’



