শেরপুরে সবজির বাজারে ধস! ক্ষতির মুখে কৃষক
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমার চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে ফুলকপি ও বেগুনের দাম এতটাই কমেছে যে, সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও কৃষকদের কপালে কিছুটা চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে এই স্বস্তির মাঝেও পেঁয়াজ ও টমেটোর বাজার এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
আজ রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে শেরপুরের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার ছোনকা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজি বাজারে উঠেছে। সরবরাহ বেশি থাকায় দাম নিম্নমুখী।
ফুলকপি: বাজারে সবচেয়ে বড় পতন দেখা গেছে ফুলকপির দামে। প্রতি মণ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ছে মাত্র ২ থেকে আড়াই টাকা।
বেগুন: বেগুনের বাজারও বেশ সস্তা। প্রতি মণ বেগুন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০০ টাকায় (কেজি প্রতি ১৫ টাকা)।
ব্যতিক্রম পেঁয়াজ ও টমেটো: সব সবজির দাম কমলেও পেঁয়াজ ও টমেটোর বাজার উল্টো চিত্র দেখাচ্ছে। প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩,২০০ টাকায় এবং টমেটো ২,৬০০ টাকায়। আমদানির স্বল্পতা বা সিজনাল কারণে এই দুই পণ্যের দাম এখনো চড়া বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
সবজির দাম কম থাকায় ক্রেতাদের চোখে-মুখে খুশির আভা দেখা গেছে। অধিকাংশ ক্রেতাই সপ্তাহের বাজার একসাথে করছেন এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সবজি কিনে বাড়ি ফিরছেন। বাজারে আসা এক ক্রেতা জানান, "অনেক দিন পর মন ভরে সবজি কিনতে পারছি। ফুলকপি আর বেগুনের দাম একদম হাতের নাগালে। তবে পেঁয়াজ আর টমেটোর দামটা একটু কমলে পুরোপুরি স্বস্তি পেতাম।"
বগুড়ার এই অঞ্চলে বর্তমানে শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুম চলছে। ফলন ভালো হওয়া এবং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় পাইকারি পর্যায়ে দাম অনেকটাই কমে গেছে। পরিবহন খরচ এবং বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া সঠিক থাকলে সাধারণ মানুষ আগামী কয়েক সপ্তাহ এই সুফল ভোগ করতে পারবে। তবে পেঁয়াজ ও টমেটোর সরবরাহ না বাড়লে এই দুটি পণ্যের বাজার সহসা কমার সম্ভাবনা নেই।



