সেন্টমার্টিনের টিকেট জালিয়াতি রোধে মাঠে প্রশাসন
কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পাঁচ দিনের জন্য মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে মোট পাঁচ দিন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ পরিপত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা অপরিহার্য। এজন্য সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় ইতোমধ্যে মোতায়েন রয়েছে এবং নির্বাচনের সময়ও তা অব্যাহত থাকবে। সরকার কর্তৃক সামরিক বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
পরিপত্রে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভোটকেন্দ্র ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের সুরক্ষা, নির্বাচনি সামগ্রী পরিবহণ ও সংরক্ষণে নিরাপত্তা, গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটারদের জন্য সহনীয় পরিবেশ তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে। নির্বাচনের আগে তিন দিন এবং পরে একদিন বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
এর আগে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়গুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। গুরুত্বপূর্ণ নথি ও নির্বাচনি মালামাল সংরক্ষণের কারণে এসব কার্যালয়ে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার কমিশনার ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর, বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।



