পঞ্চগড়ে হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ছুঁয়েছে ৯৯ শতাংশে।

গত কয়েক দিন ধরেই জেলার তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছিল। শনিবার তা নেমে আসে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি।

রবিবার ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। হেডলাইট জ্বালিয়েও রাস্তার সামনে দেখা যাচ্ছিল না, ফলে প্রয়োজন ছাড়া মানুষের চলাচল ছিল সীমিত। অনেকে মোটা গরম কাপড় জড়িয়ে কাজে বের হলেও অনেকেই ঠান্ডার তীব্রতায় ঘরে থাকতে বাধ্য হন।

ঢাকা–পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী হানিফ পরিবহনের চালক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে এমন কুয়াশা পড়ে যে গাড়ির লাইটও ব্যাক করে আসে। রাস্তার লাইন দেখাই যায় না। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গতি অর্ধেক কমাতে হয়।’

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। সর্দি–কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ভিড় বাড়ছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’