গাংনীতে ডিএপি-টিএসপি সারের তীব্র সংকট, চড়া দামে কিনতে বাধ্য কৃষকেরা
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ডিএপি ও টিএসপি সারের সংকট দিনদিন ঘনীভূত হচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে সার না পেয়ে কৃষকদের মুখে অস্বস্তির ছায়া। অভিযোগ উঠেছে, কৃত্রিম সংকট ও সিন্ডিকেটের কারণে প্রয়োজনীয় সার পেতে চাষিদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা জানান, সার মিলছে খুব অল্প, আর যা পাওয়া যাচ্ছে তাতেও দিতে হচ্ছে নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েক শ টাকা বেশি। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, ডিলারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সার না পাওয়ায় তারাও বিপাকে পড়ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার না থাকায় তাদেরকেও বাড়তি দামে কিনতে হয়, যা শেষ পর্যন্ত ভোগান্তির বোঝা হয়ে পড়ে কৃষকের ওপর। প্রশাসন নজরদারি বাড়ালে এ সংকট কমতে পারে বলে তাদের ধারণা।
কিছু সাবডিলার জানিয়েছেন, ডিএপি ও টিএসপি সারের বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। অনেক সময় বাইরে থেকে উচ্চদামে সার সংগ্রহ করতে হয়, তাই বাড়তি দামে বিক্রি ছাড়া উপায় থাকে না।
করমদী গ্রামের কৃষক লাভলু হোসেন বলেন, ডিএপি-টিএসপি না পেয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সমস্যার সমাধান হবে না।
তেরাইল মাঠের কৃষক উকিলুর রহমান জানান, আগে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় পাওয়া যেত সার। এখন ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দিয়েও মেলে না। তিনি ন্যায্যমূল্যে সার নিশ্চিত করতে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান।
বামন্দী মাঠের মারফত আলী বলেন, গম-ভুট্টাসহ মৌসুমি ফসলের জন্য ডিএপি-টিএসপি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সংকটের কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সতর্ক করে বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের বেশি নেওয়া যাবে না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, সারের দাম বেশি নেওয়ার বিষয়ে তদন্ত করা হবে। প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



