নরসিংদীতে যুবলীগ নেতার কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ
নরসিংদী প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
নরসিংদীর পলাশে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলুর প্রায় সাত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ক্রোক করেছে দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে দুদক, সম্মিলিত জেলা কার্যালয় গাজীপুর-এর সহকারী পরিচালক মো: এনামুল হক এর নেতৃত্বে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচরে আদালতের নির্দেশনায় দেলুর অবৈধ সম্পদ ক্রোক করা হয়। এসময় পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবুবক্কর সিদ্দিকীকে রিসিভার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দেলোয়ার হোসেন দেলু পলাশ উপজেলার কাজিরচর গ্রামের মো: সুরুজ আলীর ছেলে। তিনি ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
দুদক জানায়, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু আয় বহির্ভূত ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ দখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গাজীপুর-এর সহকারী পরিচালক মো: এনামুল হক মামলা দায়ের করেন। মামলায় দেলোয়ারের অবৈধ সস্পদের ৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পতি বেহাত হয়ে যাবে আশায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। পরে নরসিংদীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ হুমায়ুন কবীর সম্পদগুলো ক্রোক ও রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে দুপুরে দুদক, সম্মিলিত জেলা কার্যালয় গাজীপুর-এর সহকারী পরিচালক মো: এনামুল হক এর নেতৃত্বে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচরে আদালতের নির্দেশনায় দেলুর অবৈধ সম্পদ ক্রোক করে । পরে তা পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবুবক্কর সিদ্দিকীকে রিসিভার হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ক্রোতকৃত সম্পদ হলো, পলাশের কাজিরচর গ্রামে ২৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত ২ হাজার ৩০৪ বর্গফুটের তিনতলা ডুপেক্স বাড়ি। যার মূল্য ৩ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৪৪ টাকা। আর একই গ্রামে ৬ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত তিন হাজার ৬৫০ বর্গফুটের পাঁচতলা ভবন। যার মূল্য ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৮ হাজার ২৫৭ টাকা। দেলুর মোট ৬ কোটি ৮১ লাখ ৩৫ হাজার ৩০১ টাকার সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী বলেন, আদালতের নির্দেশনায় দুইটি ভবন আমরা ক্রোক করেছি ও রিসিভার হিসেবে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সম্পদ যেনো বেহাত ও বিক্রি না হয় সেজন্য আমরা ক্রোক করেছি। এগুলো আমাদের লোকবল ধারা দেখাশোনা করা হবে। আর ভবনে যারা ভাড়াটিয়া বাসিন্ধা ছিলেন তাদের দ্রুত অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এসম উপস্থিত ছিলেন দুদক, সম্মিলিত জেলা কার্যালয় গাজীপুর-এর সহকারী পরিচালক মো: এনামুল হক, সহকারী পরিচালক মো: মশিউর রহমান, পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী, নরসিংদী জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সিনিয়র সদস্য হলধর দাস সহ স্থানীয় সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।



