Logo
Logo
×

সারাদেশ

সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ, থাকছে রাত্রিযাপনের সুযোগ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম

সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ, থাকছে রাত্রিযাপনের সুযোগ

ছবি : সংগৃহীত

প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে শুরু হচ্ছে পর্যটকবাহী জাহাজের চলাচল। সরকারি ১২ নির্দেশনা অনুসরণ করে আগামীকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে পরবর্তী দুই মাস (৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত) দ্বীপটিতে রাত্রিযাপনের সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকেরা।

গত ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত করা হলেও রাত্রিযাপনের বিধিনিষেধ থাকায় ছাড়েনি জাহাজ। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি পেয়েছে চারটি জাহাজ।

প্রতিদিন দুই হাজার পর্যটক এসব জাহাজে করে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে যাবেন সেন্টমার্টিন।

পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনুমোদিত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে, যেখানে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট অবৈধ গণ্য হবে। প্রথম দিনের যাত্রায় তিনটি জাহাজের অগ্রিম প্রায় ১২শ টিকেট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। 

জাহাজ মালিকদের সংগঠন ‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের’ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি মৌসুমের প্রথম যাত্রার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত জাহাজগুলোর সব প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের ভ্রমণ সুন্দর ও নিরাপদ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের আগ্রহ সন্তোষজনক, তবে পরবর্তী মৌসুম থেকে অন্তত ৪ মাস যদি রাত্রিযাপনের সুযোগ মিলে তাহলে পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টরা লাভবান হবেন।

সেন্টমার্টিনের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, পর্যটন ব্যবসাই আমাদের বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন, পর্যটকদের বরণে এখানকার মানুষ মুখিয়ে আছে। হয়তো অনেক সংকট আমাদের আছে তারপরেও দ্বীপবাসী আতিথেয়তায় কোন কমতি রাখবে না।

সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

প্রশাসন জানিয়েছে, এবার দ্বীপে ভ্রমণের সময়সূচি ও পর্যটক সংখ্যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। 

নির্দেশনা অনুযায়ী, রাতে সেন্টমার্টিনের সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি করা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ-বিক্রি, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রমে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এছাড়া সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইক বা যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পাশাপাশি পলিথিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক (চিপসের প্যাকেট, স্ট্র, মিনিপ্যাক সাবান-শ্যাম্পু, ছোট প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি) নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বলেন, সেন্টমার্টিন আমাদের সম্পদ, সরকারের আরোপিত নির্দেশনাগুলো মেনে চলা উচিত। আশা করছি দ্বীপের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় পর্যটকসহ সংশ্লিষ্টরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন