গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের পুরোনো সাথীদের ঢল নামে শুক্রবার সকাল থেকেই। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এলাকা জনস্রোতে পরিণত হয়। পরিবেশ, প্রস্তুতি ও মেহমানদের আগমন—সব মিলিয়ে মাঠজুড়ে যেন মূল বিশ্ব ইজতেমার আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াত, তালিম ও আত্মশুদ্ধির উদ্দেশ্যে আয়োজিত ৫ দিনের এই জোড় ইজতেমাকে ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। ৬৪ জেলা থেকে প্রায় দুই লাখ তিন চিল্লার সাথী এবং সময় লাগানো ওলামায়ে কেরাম ইতোমধ্যেই ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি বলেন, তাবলিগের কাজের সৌন্দর্য বড় আয়োজন নয়—বরং ইখলাস, নিঃস্বার্থ নিয়ত, খেদমত ও ত্যাগ। জোড় ইজতেমা তিন চিল্লার সাথীদের মিলনমেলা হলেও নতুন–পুরোনো সবার আত্মগঠনের অনন্য সুযোগ তৈরি করে।
তিনি জানান, গত এক বছরে সাথীরা কী মেহনত করেছেন তার বিবরণ বড়দের সামনে তুলে ধরেন, আর মুরুব্বিরা সেসব শুনে আগামী বছরের দাওয়াতি কাজের দিকনির্দেশনা দেন।
এবারের জোড় ইজতেমায় ১৯টি দেশের মোট ৭০০ বিদেশি মেহমান উপস্থিত আছেন। পাকিস্তান, ভারত, কিরগিস্তান, কানাডা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ইয়েমেন, চীন, সৌদি আরবসহ ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথীরা অংশ নিয়েছেন।
হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, বিদেশি মেহমানদের জন্য ভাষাগত সহায়তা, নিরাপত্তা এবং মৌলিক সেবাসহ সবধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তারা নির্বিঘ্নে কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন।
ময়দানের প্রতিটি খিত্তায় চলছে বয়ান, আর নগদ চিল্লার জামাত বের করার প্রস্তুতিও চলছে। আগামী ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের ৫ দিনের জোড় ইজতেমা।



