দীর্ঘ ১৬ বছর যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলন জিয়া পরিবার করেছে : খোকন
নরসিংদী প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১০ পিএম
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার এমন অসুস্থ ছিলেন না, ওনাকে তিলে তিলে এমন অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলন জিয়া পরিবার করেছে। যার কারণে জিয়া পরিবারের ওপর সবচেয়ে বেশী অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিনা কারণে, বিনা অপরাধে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া ২৫টি আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সবকটি আসনেই বিজয়ী হয়েছেন। কোনো আসনে পরাজিত হননি। বেগম জিয়ার এসব জনপ্রিয়তা শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার রাজনীতির অন্যতম কারণ ।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গায়েবি, সাজানো, পাতানো ৩৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কোর্টে হাজিরা দিতে যান। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রীকে শুধু কারাগারে পাঠিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, ওনাকে পুরোনো জরাজীর্ণ কারাগারে রাখা হয়েছে। যেখানে দেয়াল ও ছাদের নীচ থেকে পলেস্তারা খুলে খুলে পড়ছে, এর ভেতর বিচ্ছু ছুটাছুটি করে। কোনো সুস্থ মানুষ এমন জায়গায় থাকতে পারবে না। এমনকি ওনাকে কোনো সু-চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি।
খোকন বলেন, পরিকল্পিতভাবেই এমন জায়গায় রেখেছে যাতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শেখ হাসিনা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বেগম জিয়া কোনোদিন পালাননি। বেগম জিয়াকে আপোশ করার জন্য বারবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি আপোশ করেননি। আমি এ দেশের জনগণকে ছেড়ে কোথাও যাব না। আমার তিনটি পরিবার, একটি আপোশ- দেশের জনগণ, আমার দেশ ও আমার পরিবার। তার বাইরে আমার আর কোনো ঠিকানা নেই।
এ সময় জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ ভূইয়া, সহ-সভাপতি এমএ জলিল, হারুন অর রশিদ, আকবর হোসেন, শহর বিএনপির সভাপতি একেএম গোলাম কবির কামাল, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।



