বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তরুণী, চার দিন পর তালাবদ্ধ ঘরে মিলল ঝুলন্ত মরদেহ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পরিবারের সঙ্গে রাজধানীতে থাকতেন সীমা আক্তার। গত রোববার (২৩ নভেম্বর) চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে বাড়িতে যান তিনি। সেখানে পরিবারের অন্য কেউ থাকেন না। বেশির ভাগ সময় বসতঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঘরটি থেকে দুর্গন্ধ বের হলে প্রতিবেশীরা সীমার মাকে খবর পাঠান। গ্রামে ফিরে তালা খুলে ঘরে ঢুকেই সীমার অর্ধগলিত অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ খুঁজে পান মা।
সীমা আক্তার (১৯) গোবিন্দপুর গ্রামের শফিক তপাদারের মেয়ে। বাবার ব্যবসার সুবাদে সীমা সপরিবার ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত রোববার মা–বাবাকে বেড়ানোর কথা জানিয়ে সীমা নিজেদের গ্রামের বাড়ি গোবিন্দপুরে যান। ঘরটির তালা খুলে তিনি ভেতরে যাওয়ার পর আশপাশের লোকজন আর তাকে দেখেননি। ঘরটির বাইরের দরজায় তালা দেখে প্রতিবেশীরা ধারণা করেন, ওই তরুণী আবার ঢাকায় পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবেশীরা আঁচ করেন, ওই ঘর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তারা বিষয়টি মুঠোফোনে জানালে সীমার মা বিকেলে বাড়িতে আসেন। একপর্যায়ে ওই ঘরের তালা খুলে ভেতরে মরদেহটি দেখতে পান। ওই সময় মরদেহটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
বাবা শফিক তপাদার বলেন সীমা বেশ কয়েক দিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। সীমা সারাক্ষণ চুপচাপ থাকত। তবে কী কারণে চুপচাপ থাকতেন, তা পরিবারের কাউকে কখনো জানাননি। সীমা আত্মহত্যা করেছেন, নাকি কেউ তাকে হত্যা করে লাশটি ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন, তা বলতে পারছেন না।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মো. সালেহ আহাম্মদ বলেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা, নাকি হত্যাময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হবে। ময়নাতদন্তের জন্য তরুণীর মরদেহ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।



