প্রাথমিকের মিড-ডে মিল
প্রথম সপ্তাহেই অনিয়মের অভিযোগ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
খাবার না দেওয়া, পরিমাণ কম দেওয়া এবং কাঁচা কলা সরবরাহসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। ছবি : সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হওয়া মিড-ডে মিল কর্মসূচির শুরুতেই দেখা দিয়েছে অনিয়ম। খাবার না দেওয়া, পরিমাণ কম দেওয়া এবং কাঁচা কলা সরবরাহসহ নানা অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছ থেকে।
সরেজমিনে গত কয়েক দিনে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর নতুন গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যাদুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিয়াবাড়ি, দক্ষিণ বাউশমারী ও চর বারোবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ছয়টি বিদ্যালয়ে গিয়ে একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রৌমারীর ১১৪টি বিদ্যালয়ের ১৮ হাজার ৯৯৮ শিক্ষার্থী সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার পাওয়ার কথা। খাদ্যতালিকা অনুযায়ী রুটি, সিদ্ধ ডিম, দুধ, ফর্টিফায়েড বিস্কুট এবং স্থানীয় মৌসুমি ফল সরবরাহ করা হওয়ার কথা।
চর বারোবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুল হক বলেন, আমাদের ৯৪ জন শিক্ষার্থী। প্রথম দিন পেয়েছি মাত্র ৭০ জনের খাবার। পরের দিন শুধু রুটি এসেছে। এরপর কয়েক দিন কোনো খাবারই আসেনি।
যাদুরচর নতুন গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম বলেন, রুটি ও কলা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু পরিমাণ কম। পরের দিন কেবল রুটি এসেছে। আজ দিয়েছে কাঁচা কলা, যা অন্তত সাত দিনেও খাওয়ার উপযোগী হবে না।
সাব ঠিকাদার লিপু বলেন, কলা সরবরাহে পাইকার ভুল করেছে। অনিচ্ছাকৃত ভুল, আর হবে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইল্যান্ড ট্রেডিংয়ের সমন্বয়কারী রায়হান বলেন, হঠাৎ ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছি। এখনো উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের কারও সঙ্গে সমন্বয় করা হয়নি। ১ তারিখ থেকে নিয়মমাফিক সরবরাহ করা যাবে।
রৌমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, ঠিকাদার আমাদের সঙ্গে কোনো চুক্তিপত্র দাখিল করেনি, সাক্ষাৎও করেনি। নিজ উদ্যোগেই কাজ করছে। বিলের সময় শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে হলে তখন আমরা বিষয়টি দেখব।



