Logo
Logo
×

সারাদেশ

সেতু আছে, রাস্তা নেই

Icon

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২১ পিএম

সেতু আছে, রাস্তা নেই

ছবি : সংগৃহীত

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের বাদল পাড়া খালের ওপর নির্মাণাধীন ৩০ লাখ টাকার সেতুটি ৭ বছর ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দে সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু করে সুমন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ উঠেছে, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না করেই ৭ বছর আগে চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ফারুক গাজী ও তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে ভাগাভাগি করা হলেও সেতুর কাজ আজও সম্পন্ন হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সেতুটি নির্মাণের অনুমোদন দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সেতু নির্মাণের শুরু থেকেই কাজের মান, তদারকি ও আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু ঠিকাদার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ না করেই বিল উত্তোলন করে ভাগাভাগি করেছেন। সেতুটির উপরিকাঠামো পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করায় বছরের পর বছর সেতুটি খালের পানিতে ডুবে আছে। এতে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। সেতুটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বাদলপাড়া গ্রামের হাজারো মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কৃষিপণ্য পরিবহনে নেমে আসে স্থবিরতা।

ঠিকাদার ফারুক গাজী শারীরিক অসুস্থ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার ছেলে সুমন গাজী জনকণ্ঠ সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, আমার বাবার লাইসেন্স সেতুর কাজটি করা হলেও এটার সাথে ইউপি সদস্য মজনু জড়িত ছিল। তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করা হয়েছিল। সেতুটির অসমাপ্ত কাজ করার কথা থাকলেও দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য মজনু সেতু নির্মাণের প্রকল্প টাকা আত্মসাৎ করেছে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালের শেষদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বদলি হয়ে যায়। এরপর তার পরিবর্তে কর্মস্থলে যোগদান করেন আহসান হাবিব। তবে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ না করে বিল উত্তোলনের বিষয় জানতে চাইলে এই দুই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। 

স্থানীয়দের অভিযোগ—দায়িত্বশীল দপ্তরের উদাসীনতা এবং ঠিকাদারের অনিয়মের কারণেই সেতুটি আজ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবিলম্বে দুর্নীতি তদন্ত ও সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে বর্তমান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, ৭ বছর আগের ঘটনা তখন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়িত্বে কে ছিলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। সেতু নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন