পাকুন্দিয়ায় পিকআপ–সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৯
কিশোরগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় একটি পিকআপভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অটোরিকশায় থাকা নারী-শিশুসহ ছয়জন যাত্রী এবং দুই গাড়ির চালকসহ নয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের পাকুন্দিয়া ও কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে পাকুন্দিয়া-কিশোরগঞ্জ সড়কের কোদালিয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন পেট্রল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত সবার নাম–পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনাস্থলে যানচলাচল কিছু সময়ের জন্য বিঘ্নিত হলেও পরে স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ চামড়াঘাট থেকে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা গাজীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। একেই সময়ে গাজীপুর থেকে গার্মেন্টসের জোট কাপড় বহনকারী একটি পিকআপ কিশোরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পাকুন্দিয়া-কিশোরগঞ্জ সড়কের কোদালিয়া চৌরাস্তা এলাকা সংলগ্ন পেট্রল পাম্পের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা মালভর্তি পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং পিকআপের সামনের অংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংঘর্ষে অটোরিকশায় থাকা দুইজন নারী, একজন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চালক এবং পিকআপ চালকসহ দুজন মোট ৯ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া ও কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল হোসেন বলেন, আমরা বিন্নাটি থেকে গাজীপুর উদ্দেশ্যে রওনা হয় সিএনজি গাড়িটি আমাদের সামনের গাড়ি ছিল পরে দেখলাম অপর পাশ থেকে পিকাপ আর সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৯ জনের মতো গুরুতর আহত হয়। সবারই অবস্থা আশংকাজনক। তাৎক্ষনিক কোন গাড়ি না থাকায় পাকুন্দিয়া থানার ওসির গাড়ি দিয়ে কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত অসিম চন্দ্র দাস বলেন, আমার বাড়ি ইটনা। গাজীপুর যাওয়ার জন্য করিমগঞ্জ চামড়াঘাট থেকে অটোরিকশাতে উঠেছি। গাড়িতে এক শিশুসহ আরও চারজন যাত্রী ছিল। তাদের কাউকেই চিনি না।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িতে করেই কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসছি। তারা সবাই গুরুতর আহত। এই মুহূর্তে তাদের নাম-পরিচয় জানা যাচ্ছে না।



