চট্রগ্রামে ‘মানবিক ডিসি’র গণশুনানিতে স্বস্তির ঢেউ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
ছবি : চট্রগ্রামে ‘মানবিক ডিসি’র গণশুনানিতে স্বস্তির ঢেউ
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনেই আলোড়ন তুলেছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বুধবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ধূসর দরজার সামনে ভিড় জমে যায় সাধারণ মানুষের। কেউ এসেছেন ওয়ারিশ সনদ বাতিলের আবেদন নিয়ে, কেউ সুপেয় পানির দাবি জানাতে, আবার কেউ এসেছেন সন্তানের পড়ালেখার সহযোগিতা চাইতে।
গণশুনানির হলরুম যেন মানুষের কষ্ট আর আশার মঞ্চে পরিণত হয়। প্রতিটি আবেদন মনোযোগ দিয়ে পড়েন ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা। তিনি প্রতিটি মানুষকে নাম ধরে ডাকেন, সমস্যার কথা শোনেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। তার মানবিক আচরণে উপস্থিতরা বলেন—“তিনি সত্যিকারের মানবিক ডিসি।”
রাঙ্গুনিয়ার এমরান হোসেন অভিযোগ করেন, ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দিয়ে তাদের খতিয়ান দখল করা হয়েছে। ডিসি সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসি ল্যান্ডকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। বাঁশখালীর জাফর আহমদ সুপেয় পানির অভাবের কথা জানালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন ডিসি।
এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিজের পড়ালেখার খরচ ও ছোট বোনের স্কুলের বেতন মওকুফের আবেদন করলে ডিসি তাৎক্ষণিকভাবে বোনের বেতন মওকুফ করেন এবং শিক্ষার্থীর জন্য নিয়মিত আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেন। শিক্ষার্থীর চোখের পানি যেন গণশুনানির মানবিকতার সত্যিকারের প্রতীক হয়ে ওঠে।
দিন শেষে ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “মানুষ আশা নিয়ে আমাদের কাছে আসে। তাদের কথা শোনা এবং সমস্যার সমাধান করা আমাদের দায়িত্ব। আমার অফিস সবার জন্য উন্মুক্ত। নিয়মিত গণশুনানি মানুষের আস্থা বাড়ায় এবং প্রশাসনকে জনগণের কাছাকাছি নিয়ে আসে।”
স্থানীয়রা বলছেন, দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনেই তার আচরণ ও সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হয়েছে—চট্টগ্রাম পেয়েছে একজন মানবিক ও জনগণের প্রশাসক। মানুষের মুখে মুখে এখন একটাই নাম—মানবিক ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা।



