Logo
Logo
×

সারাদেশ

এইডসের রেড জোন সিরাজগঞ্জ, শনাক্ত ২৫৫, মৃত্যু ২৬

Icon

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

এইডসের রেড জোন সিরাজগঞ্জ, শনাক্ত ২৫৫, মৃত্যু ২৬

ছবি : সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ জেলায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এইচআইভি পজিটিভ এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এইচআইভি সেন্টারের তথ্য মতে, জেলায় ২৫৫ জন পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার ৭৩ শতাংশই ইনজেকটিভ ড্রাগ ব্যবহারকারী। এতে শঙ্কায় রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 

এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে একই সিরিঞ্জে মাদকগ্রহণ, রোগের তথ্য গোপন, তরুণদের সচেতনতার অভাব ও অনিয়ন্ত্রিত যৌন সর্ম্পককে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা।

প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা নেশা জাতীয় ইনজেকশনের মাধ্যমে এই রোগ বেশি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন  সংশ্লিষ্টরা। আক্রান্তদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের পাশাপাশি কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বলছে, ইনজেকটিভ ড্রাগের ব্যবহার কমাতে নিয়মিত অভিযান চলছে। সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের এআরটি সেন্টার সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সিরাজগঞ্জ জেলায় এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হয়।

এরপর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমে বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় ২০২০ সালে চারজন, ২০২১ সালে আটজন ও ২০২২ সালে ৬৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে জেলায় আক্রান্ত হয় আরো ১৩৬ জন। চলতি বছর এ পর্যন্ত শনাক্ত ৩৮ জন মিলে জেলায় বর্তমান এইডস রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৫ জনে, যাদের ৭৩ শতাংশই মাদকসেবী।

আক্রান্তদের মধ্যে জেলায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।

এআরটি সেন্টারের কাউন্সিলর কাম অ্যাডমিনিস্টেটর মাসুদ রানা বলেন, জেলায় আক্রান্ত ২৫৫ জনের মধ্যে ইনজেকটিভ ড্রাগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮৭ জন। আর কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯ জন। এ ছাড়া সাধারণ ৩৫ জন ও যৌনকর্মীর সংখ্যা চারজন। যে কারনে সিরাজগঞ্জ জেলাকে ইতোমধ্যে রেড জোন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

মাসুদ রানা আরও বলেন, অনেকে বুঝে না বুঝে নেশা জাতীয় ইনজেকশন গ্রহণের সুই বা সিরিঞ্জ একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করছে। এতে দ্রুত এইডসের ভাইরাস একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আক্রান্তরা এআরটি সেন্টার থেকে নিয়মিত বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন বলে দাবি  করেন তিনি।

সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার বলেন, সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষই বেশি ইনজেকটিভ ড্রাগ শেয়ার করে ব্যবহার করছে। ফলে এদের মধ্যেই বেশি এইচআইভি পজেটিভ পাওয়া যাচ্ছে। তবে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তাদের মনোবল বাড়াতে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। তবে ইনজেকটিক ড্রাগের ব্যবহার কমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অবৈধ নেশা জাতীয় ইনজেকশন বিপণনের সঙ্গে জড়িতদের আটকে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরে বিভিন্ন অভিযানে প্রায় ১৯০০ অ্যাম্পল ইনজেকটিভ ড্রাগ জব্দ করা হয়েছে।’

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, এইডস প্রতিরোধে চলমান মাদকবিরোধী অভিযান আরো বেগবান করা হবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন