ভূমি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করা না হলে রোবাবার রাঙ্গামাটি শহরে অবরোধ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
রাঙ্গামাটিতে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক বাতিল করা না হলে আগামী রোববার রাঙ্গামাটি পৌর সভা এলাকায় অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)' এই কমিশনের বৈঠক বাতিলের দাবিতে বুধবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের বরা বলে স্মারকলিপি পেশ করেছেন্ ।
বুধবার সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। আগামী ১৯ শে অক্টোবর রবিবার রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অবস্থিত অস্থায়ী কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এর অনুষ্ঠিত বৈঠক হওয়ার জন্য তারিখ দিয়েছে। এই বৈঠক স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) এই স্মরক লিপি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি শহরের স্থানীয় এক রেস্তোরায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এই কথা জানান। ছাত্র-জনতার পক্ষে পিসিসিপি'র আট দফা দাবি জানান। এই দফা বাস্তবায়ন করা না হলে রোববার ভূমি কমিশনের বৈঠক করার চেষ্টা করা হলে তা রাঙ্গামাটিতে কঠোর অবস্থান নিয়ে প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন, যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূর হোসেন, পিসিএনপি'র জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির প্রমুখ। রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে পিসিসিপি'র ঘোষিত ৮ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এর কোন বৈঠক না করার জন্য অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে।
(১) পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে।
(২) পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে।
(৩) জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির উপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে।
(৪) পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির অধিকার দিতে হবে।
(৫) কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
(৬) পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ২০০১ সালের ভূমি কমিশন আইন অনুযায়ী বলবৎ করতে হবে।
(৭) পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
(৮) বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তীকৃত, অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবেনা।



