গাংনীর প্রধান সড়কগুলো খানাখন্দে ভরা, বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বাড়ে
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রধান সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশেষ করে বামন্দী–কাজীপুর সড়কসহ বেশ কয়েকটি রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র দুর্ভোগ। এতে যানবাহনের ক্ষতি যেমন বাড়ছে, তেমনি বেড়ে গেছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা জানিয়েছেন, উপজেলার অনেক রাস্তাই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলগামী শিশু এবং নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি।
নছিমনচালক আলমগীর হোসেন বলেন, রাস্তায় চলাচল করতে গেলে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি লাগে। অনেক সময় গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে যায়, কারও গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। এতে খরচ বাড়ে, দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ে।
মোটরসাইকেলচালক রবিন আহমেদ বলেন, রাতে চলাচল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। পানিতে গর্ত ঢাকা পড়ে যায়, বোঝা যায় না কোথায় সমান, কোথায় ফাঁদ। সামান্য ভুলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ট্রাকচালক রিপন আলী জানান, খানাখন্দের কারণে ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয়। যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। রাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বেশি।
অটোচালক বাবলু মিয়া বলেন, রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে রোগীদের হাসপাতালে নিতে গেলে অনেক কষ্ট হয়। এতে অনেক সময় রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
পথচারী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে যায়। তখন বোঝা যায় না কোথায় রাস্তা, কোথায় গর্ত—ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
স্কুলশিক্ষার্থী সালমা খাতুন বলেন, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া মানেই ভয়। রাস্তায় খানাখন্দে পড়ে অনেক সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পাই।
দীর্ঘদিনের এই দুর্ভোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, উপজেলার বামন্দী–কাজীপুরসহ যেসব সড়ক খানাখন্দে ভরা, সেগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করা হবে।



