ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় দুই তদন্ত কমিটি, ২ জন বহিষ্কার
জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারি
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে রেলের দুজন কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে মোগলাবাজার স্টেশনের কাছে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও চারটি বগি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার পর সকাল সাতটা থেকে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৯টায় একটি লাইন সচল হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস মোগলাবাজার থেকে যাত্রা শুরু করে।
দুর্ঘটনার পর দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকেও চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে; যা তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে দায়িত্বরত দুজন কর্মীকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মোগলাবাজার রেলক্রসিং এলাকায় সিগন্যাল অমান্য ও অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি রায় জানান, দুর্ঘটনায় চালকসহ ছয় থেকে সাতজন আহত হয়েছেন, তবে কেউ গুরুতর নন।
সিলেট রেলস্টেশনের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে, পাশাপাশি সিলেটের যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ট্রেন ও বগি বাড়ানোর বিষয়ে রেলওয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে স্টেশনে কোনো দালালচক্র বা টিকিট কালোবাজারিকে বরদাশত করা হবে না। সরকারি বাসা বা স্থাপনা সাবলেট দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি, সিলেট শহরে কোনো অবৈধ স্থাপনা রাখা হবে না, পর্যায়ক্রমে রেলওয়েসহ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন।



