গৃহবধূ ফাতেমাকে ধর্ষণ ও হত্যার বিচার দাবি কুড়িগ্রামে
রাজু মোস্তাফিজ,কুড়িগ্রাম
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
কুড়িগ্রামকুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জে গৃহবধূ ফাতেমাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ তুলে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। বুধবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ফাতেমার পিতা মো. আসাদ আলী (আসাবুদ্দিন) লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে গত ১৪ আগস্ট ২০২৫ রাতে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালাডোবা গ্রামের স্বামীর বাড়িতে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ঘরের ধরনায় ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়।
তিনি জানান, ফাতেমার স্বামী শামীম মোল্লা জীবিকার তাগিদে টাঙ্গাইল জেলায় থাকলেও নিয়মিত পরিবারের খোঁজখবর নিতেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারী ও মাদকসেবীরা ফাতেমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করত। ঘটনার রাতে ফাতেমার শাশুড়ি ও জা নিজ বাড়িতে ছিলেন না। তারা আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। এ সময় প্রথমে সফিকুল ইসলাম সফি নামের এক যুবক তার বাড়িতে প্রবেশ করলে স্থানীয় কয়েকজন তাকে আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়া হয়। এরপর রাত গভীর হলে সফিকুলসহ প্রায় ১২ জন সংঘবদ্ধভাবে ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং নির্মমভাবে হত্যা করে।
আসাদ আলী অভিযোগ করেন, ঘটনার পর বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলুর প্রত্যক্ষ তদবিরে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। নামাজের চর পুলিশ ফাড়ির থেকে এসআই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহালে গলায় ও শরীরে জখম থাকার পরও আত্মহত্যার কাহিনি সাজায় পুলিশ। এখন পর্যন্ত তিনি মেয়ের পোস্টমর্টেমও রিপোর্ট পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও মামলা ও তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই। বরং ভিকটিমের পরিবারকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ফাতেমার বাবা আসাদ আলী অভিযোগ বলেন, আমি আমার মেয়ে হত্যা ও ধষণের ন্যায়বিচার চাই। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।



