চাঁদা না দেয়ায় জমির ধানের চারা নষ্টের অভিযোগ
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
৬০ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় এক একর জমির আমন ধানের চারা প্রভাবশালী রুহুল আমিন গাজী ও তার লোকজন তুলে মাটিতে পুতে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী কৃষক জলিল খাঁন মঙ্গলবার এমন অভিযোগ করেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার গোজখালী গ্রামে সোমবার রাতে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গোজখালী গ্রামের জলিল খাঁনের এক একর জমিতে গত ২৫ দিন আগে আমন ধানের রোপন করেছেন। চারা রোপনের পর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী আতাহার গাজীর ছেলে রুহুল আমিন গাজী তার কাছে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। ওই চাঁদা দিতে রাজি হয়নি দরিদ্র কৃষক জলিল খাঁন। একে ক্ষুব্ধ হয়ে রুহুল আমিন ও জালাল ঘরামীসহ ১৫-২০ জনে সোমবার ভোরে সমুদয় জমির চারা তুলে কাঁদায় পুতে রেখেছে বলে অভিযোগ জলিল খাঁনের।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে রুহুল আমিন তাকে এ নিয়ে বারাবারি করতে বারণ করে। তার ও তার লোকজনের ভয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছেন না। জলিল খাঁনের আরো অভিযোগ গত বছর একই কায়দায় ওই জমির ধান রুহুল আমিন গাজী, জালাল ঘরামী ও তার তাদের লোকজন তুলে ফেলেছিল। ওই সময় স্থানীয়রা সালিশ বৈঠকে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। কিন্তু প্রভাবশালী রুহুল আমিন ও তার লোকজন ওই জরিমানা টাকা পরিশোধ করেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, রুহুল আমিন গাজী, জালাল ঘরামী ও তার লোকজন গত বছরও একইভাবে জলিল খাঁনের ধানের চারা তুলে নিয়েছিল। এ নিয়ে গত বছর সালিশ বৈঠক হয়। এ বছরও তারা তুলে নিয়ে গেছেন।
কান্নাজনিত কন্ঠে জলিল খাঁন বলেন, জমিতে আমন ধানের চারা রোপনের পর থেকেই রুহুল আমিন গাজী, আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি গরীব মানুষ তার দাবীকৃত চাঁদা দিতে পারিনি। গত বছর রুহুল আমিন ও তার লোকজন আমার জমির চারা তুলে ফেলেছে। স্থানীয়রা শালিস বৈঠকে ২০ হাজার টাকা জমিরানা করেছিল কিন্তু তারা তা দেয়নি। ওই ভয়ে আমি গত ২০ দিন ধরে রাত জেগে জমি পাহারা দিচ্ছি। কিন্তু সোমবার রাতে আমি অসুস্থ থাকায় পাহারা দিতে পারিনি। সেই ফাকে রুহুল আমিন, জালাল ঘরামী ও তার লোকজন আমার জমির ধানের চারা তুলে নিয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।
রুহুল আমিন গাজী চাঁদা দাবীর কথা অস্বীকার করে বলেন, জলিল খাঁনের জমির ধানের চারা আমি তুলিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



