নরসিংদীতে প্রবাসী যুবকের গলা ও হাত বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার
নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে আব্দুল গনি (৪০) নামের এক প্রবাসীর পাঁচ খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘোড়াশালের রেললাইনের নিচ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুল গনি পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার আঁটিয়া গাও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের ভাই মনির হোসেন জানান, আব্দুল গনি প্রায় দেড় যুগ ধরে সিংগাপুরে কাজ করছিলেন। তিনি ছুটি নিয়ে ঘোড়াশালের আঁটয়াগাও গ্রামের নিজ বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। এই মাসের ২৯ তারিখে আবার সিংগাপুরে ফেরত যাওয়ার কথা ছিল।
তিনি আরও জানান, গতকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে দশটায় আমার ছোট ভাই আব্দুল গনির স্ত্রী জানান, তার মোবাইল ফোন বন্ধ, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে রাতেই ঘোড়াশাল ফাঁড়ি পুলিশ ও পলাশ থানা পুলিশকে এ বিষয়ে জানানো হয়। পরে পুলিশসহ আমরা বিভিন্ন স্থানেও খুঁজেও তাকে পাইনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটিও সন্ধ্যা ৭টা থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। কিন্তু রাত একটা ৪১ মিনিটে ও ফজরের নামাজের সময় নাম্বারটি খোলা থাকলেও পরে আবার তা বন্ধ ছিল। আমার ভাইয়ের মরদেহর পাঁচ খন্ডিত অংশ রেললাইনের আশে পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনসহ আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ ও ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের মাঝপথের রেললাইনের নিচে অজ্ঞাত একজনের খন্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি নিখোঁজ থাকা প্রবাসী আব্দুল গনির বলে শনাক্ত করেন তার ভাই মনির হোসেন। সকাল ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক এসআই নাজিম উদ্দিন জানান, আমরা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে এ মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।



