কাপ্তাই হ্রদের পানি কমাতে রাঙ্গামাটিতে আল্টিমেটাম
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
ছবি-যুুগের চিন্তা
কাপ্তাই হ্রদের তীরবাসী হাজারো মানুষের জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত হ্রদের পানির উচ্চতা কমনোর জন্য ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে রাঙ্গামাটি সচেতন নাগরিক ঐক্য।
বৃহষ্পতিবার সকালে এই সংগঠনের ব্যানারে রাঙ্গামাটির সাধারণ জনগণের পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিটি প্রদান করেছেন। স্মারক লিপিটি জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জোবায়দা আক্তার জমা নিয়েছেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি সচেতন নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক জুই চাকমা, ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, পলাশ চাকমা, নুরুল আবচার, শাখাওয়াত হোসেন, মোঃ বাদশা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা না হওয়ায় তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। হ্রদ সৃষ্টির সময় হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ছিলো ১০৯ ফিট। কিন্তু ক্রমান্বয়ে তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৫ থেকে ১০৬ ফিট হলেই পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এতে বর্ষা মৌসুমে রাঙ্গামাটি পৌর এলাকাসহ লংগদু, বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি উপজেলার হাজার হাজার বসতঘর ও বিস্তীর্ণ এলাকা জুরে ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে যায়।
চলতি বছরও অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দুইমাস যাবত হাজার হাজার মানুষ পানিতে তলিয়ে আছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌছেছে। পানিবন্দি মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়াও গত দুইমাস যাবত হ্রদের পানিতে ডুবে আছে রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ঝুলন্ত সেতু। যার ফলে রাঙ্গামাটির পর্যটন ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। আসন্ন দূর্গাপুজা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি থাকলেও পর্যটকদের আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এসময় জনগণের দুর্ভোগ লাগবে এবং পর্যটন ব্যবসার ধ্বস ঠেকাতে আগামী ৩ দিনের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আনার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। অন্যথায় ভুক্তভোগী সাধারণ জনতাকে সাথে নিয়ে আরো জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।



