আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাদীকে ছুরিকাঘাত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
কিশোরগঞ্জে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম নামে একজনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার জেলখানা মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আহত জাহাঙ্গীর আলম ভৈরব উপজেলার ঘোড়াকান্দা এলাকার বাসিন্দা। একই এলাকার মৃত কান্দর আলীর ছেলে শেখ সাহেদ আলী (৫৮), সম্ভুপুর এলাকার মৃত ফালু মিয়ার ছেলে শমসের আলী (৬০), শমসের আলীর ছেলে আল আমিন (৩৮), ইউনুস মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৬২) সাহেদ আলীর স্ত্রী তাসলিমাকে (৫০) অভিযুক্ত করে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার আদালতে মামলায় হাজির হওয়ার তারিখ ছিল।
হাজিরা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন অজ্ঞাত লোকজনকে দিয়ে জেলাখানা মোড় এলাকায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলমকে শরীরের পেছন দিক দিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ভাই জাকির হোসেন প্রবাসে থাকায় তার পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করি। সেই মামলার মঙ্গলবার হাজির হওয়ার তারিখ ছিল। হাজিরা শেষে নিজ বাড়ি ভৈরব উপজেলার ঘোড়াকান্দা এলাকায় রওনা করি। পথে জেলখানা মোড় এলাকায় খাওয়ার জন্য দাঁড়ালে অজ্ঞাত ব্যক্তি আমাকে অভিযুক্ত সাহেদ আলী’র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয় জানতে চায়। তাদেরকে মামলা দায়েরের বিষয় জানালে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বলেন। এসময় কথাবার্তার একপর্যায়ে শরীরের পেছন দিক দিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার সাথে আইয়ুব আলী নামে আরেকজন আইনজীবি ছিলেন তিনি বাঁধা প্রদান করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনা জানার পর আমরা হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা গিয়ে দেখে এসেছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



