ছবি : সংগৃহীত
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ধীরে ধীরে নেমে আসছে শীতের আমেজ। গত কয়েকদিন ধরেই ভোরে চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে, সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। আশ্বিন মাসের শুরুতেই ঠাকুরগাঁওবাসী পাচ্ছেন শীতের আগমনী বার্তা।
ভোরের দিকে অনেকে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছেন, আবার সকালে রোদ উঠতেই গরম অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতির এই বৈপরীত্য মৌসুম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কৃষকেরা বলছেন, আগাম শীত ধান ও সবজির জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়লে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, ফলে ভোর ও সকালে শীতের আমেজ আরও বাড়বে।
আবহাওয়া কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, উত্তরের জেলা হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে অন্য এলাকার তুলনায় শীত আগে আসে। চলতি মাসের শেষ ভাগে ভোর ও সকালের ঠান্ডা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে হঠাৎ শীতের স্পর্শে বাজারে পাতলা কম্বল, সোয়েটার ও চাদরের খোঁজ বেড়েছে। অনেক পরিবার বিশেষ করে শিশুদের জন্য আগেভাগেই শীতের কাপড় গুছিয়ে রাখছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ভোরে মাঠে কাজ করতে গেলে এখন পাতলা চাদর নিতে হয়। তবে শীত বেশি হলে সবজির ক্ষতি হওয়ার ভয় আছে।
কলেজছাত্রী আফসানা আক্তার জানান, সকালে ক্লাসে যেতে জ্যাকেট পরে বের হতে হয়, আবার দুপুরে গরম লাগে। এতে সর্দি-কাশির ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
শীতের আগাম আমেজ ঠাকুরগাঁওবাসীকে নতুন ঋতুর স্বাদ দিচ্ছে। তবে কৃষি ও স্বাস্থ্য উভয় দিকেই সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।



