চিলমারীতে টি-বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প ভাঙ্গনের মুখে
রাজু মোস্তাফিজ,কুড়িগ্রাম
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
হুমকিতে পড়েছে চিলমারী শহরের মানুষ। অবিরাম বৃষ্টি আর ব্রহ্মপুত্র নদেও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের মুখে কালিরকুড়া টি-বাঁধ, ডানতীর রক্ষা প্রকল্প ও কাঁচকোল এলাকার প্রায় ২ কিমি ওয়াবদা বাঁধ। পানি বাড়লেই আতঙ্ক বাড়ে মানুষের। টি-বাঁধের দু’ধারে রক্ষা প্রকল্পের পিছিং সংযুক্ত না থাকায় ভাঙ্গন আতঙ্ক বেড়েছে দ্বিগুণ।
স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে অপরিকল্পিত ও নিচু মানের কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির কারনে কুড়িগ্রামের চিলমারীর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। পানি বৃদ্ধির কারনে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ফকিরেরহাট টি-বাঁধ, ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ কাঁচকোল এলাকার প্রায় ২ কিঃমিঃ ওয়াবদা বাঁধ। সেই সাথে ভাঙ্গনের মুখে কাঁচকোল বাজার, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ কয়েকটি গ্রাম। হঠাতেই পানি বৃদ্ধি কারনে টি-বাঁধের ডান দিকে প্রকল্পে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় পুরো এলাকায় ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটছে।
ইতি পূর্বেও ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের পিছিংসহ ওয়াবদা বাঁধে কয়েকবার ধস দেখা দিলেও পুনোরায় মেরামত না করে সামান্য নামে মাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও প্রতি বছর পানি বাড়ার সাথে আতঙ্ক বেড়ে যায়। জিও ব্যাগ ফেলানোর সময় বরাদ্দের চেয়ে কৌশলগত ভাবে কম ফেলানো হয় এবং নেয়া হয় অনিয়মের আশ্রয়।
স্থানীয় আবু হানিফ, আঃ আজিজ, হাবিবসহ অনেকে বলেন, মেরামত না করে গভীর পানিতে জিও ব্যাগ ফেলিয়ে দায় এড়ানো কাজ করে থাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড। টি-বাঁধ ভাঙ্গলে ভেঙ্গে যাবে ওয়াবদা বাঁধ সেই সাথে বিলিন হবে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বলেন, টি-বাঁধ আর ওয়াবদা বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পুরো চিলমারী পড়বে ভাঙ্গনের মুখে বিলিন হবে শতশত গ্রাম। গুরুত্বপূর্ন একটি ওয়াবদা বাঁধ, টি-বাঁধ ভাঙ্গনের মুখে এবং ঝুঁকিতে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের খেয়ালহীন নজর মন্তব্য করে ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের দুই পাশের পিছিং টি-বাঁধের সাথে সংযুক্ত করে ধসের স্থান গুলো মেরামতসহ ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিকল্পনা মতাবেক কাজ করলে রোধ হবে ভাঙ্গন।এতে মানুষের আতঙ্ক কেটে যাবে ।
টি-বাঁধ এবং অবদা বাঁধ ভেঙ্গে গেলে সড়ক, রেলপথ, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক জানান সরেজমিন গিয়েছিলাম এবং ভাঙ্গন রোধে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, আতঙ্ক হওয়ার মত কিছু নাই, ভাঙ্গন রোধে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।



