সোনারগাঁয়ে আড়াই কিলোমিটারে ১৮ স্পিডব্রেকার
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ এএম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ১৮টি স্পিডব্রেকার নির্মাণ করায় ভোগান্তি চরমে উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত গতিরোধক দেওয়ায় যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে, এমনকি ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।
উদ্ববগঞ্জ থেকে আনন্দবাজার পর্যন্ত সড়কটি শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজারের প্রধান প্রবেশপথ। তবে মাত্র আড়াই কিলোমিটারের এই সড়কে গড়ে প্রতি ১০০ গজ দূরত্বে একটি করে স্পিডব্রেকার বসানো হয়েছে। কিছু জায়গায় এর দূরত্ব আরও কম, মাত্র ৭৫–৮০ গজ। এর কোনো স্পিডব্রেকারেই সতর্কতা মার্কিং নেই।
অটোরিকশা ও সিএনজি চালকরা জানান, ঘন ঘন ব্রেক করার কারণে যানবাহন নষ্ট হচ্ছে, যাত্রীদের ভোগান্তিও বাড়ছে। অটোরিকশা চালক সাগর বলেন, জায়গায় জায়গায় ব্রেকারের কারণে গাড়ির পার্টস ভেঙে যায়, মোটর জ্বলে যায়। সিএনজি চালক বিল্লাল অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত স্পিডব্রেকারের কারণে রোগী নিয়ে যাতায়াত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আনন্দবাজার পর্যন্ত এত স্পিডব্রেকার দেওয়া হয়েছে যে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। রোগীদের জন্য এগুলো বিষফোঁড়া।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান জানান, এ সড়কে এতোগুলো স্পিডব্রেকার আছে তা আগে জানা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে স্পিডব্রেকার নির্মাণ করা হয়। উপজেলায় শিল্পকারখানা ও বিনোদনকেন্দ্র থাকায় জনস্বার্থেই এগুলো দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, যেসব স্পিডব্রেকারে মার্কিং চিহ্ন নেই, দ্রুত তা দেওয়া হবে।



