চুয়াডাঙ্গায় ভৈরব নদীতে পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৭ এএম
ছবি : সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় ভৈরব নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে সেতুর একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে এবং কৃষকদের জাগ পাট ভেসে গেছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের জোল মাঠ এলাকায় নদীর ওপর নির্মিত একটি ব্রিজের অংশবিশেষ ভেঙে পড়ে। হঠাৎ তীব্র স্রোতে নদীর পাড়সংলগ্ন জমিতে পানি ঢুকে পড়ে এবং ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়। তবে পানির উচ্চতা কতটা বেড়েছে বা কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।
সোমবার বিকেলে সন্তোষপুর ও মনোহরপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদীর পানি দ্রুত বাড়তে শুরু করে। এ সময় নদীর তীব্র স্রোত দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায় তীরে। কেউ কেউ আবার স্রোতের ভেতর মাছও ধরতে থাকেন। তবে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। অনেকেই তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও শঙ্কা কাটেনি।
মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা এ আর ডাবলু বলেন, এ বছর অনেক বৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু ভৈরব নদীতে এমন স্রোত আগে দেখিনি। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে কৃষকদের ফসলের বড় ক্ষতি হতে পারে।
সন্তোষপুর গ্রামের সজীব হোসেন জানান, দুপুর পর্যন্ত নদীর পানি স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু বিকেল থেকে হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়তে শুরু করে।
স্থানীয়দের ধারণা, উজানে ভারি বৃষ্টিপাত কিংবা কোনো বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণেই হঠাৎ স্রোত বেড়েছে। তাদের আশঙ্কা, পানি বাড়তে থাকলে আরও ফসলি জমি তলিয়ে যেতে পারে এবং নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হতে পারে।
এ বিষয়ে এখনো প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসী সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদকে পাওয়া যায়নি।



