দাওয়াত না দেয়ায় খাবার খেলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
বিএনপির নেতাকর্মীদের দাওয়াত না দেয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আয়োজন করা সকল খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে ফেলেছেন গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী ও সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজী নেতৃত্বে আসা ৩০-৩৫ জন। ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন এমন অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার কালিবাড়ী ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে।
গুলিশাখালী ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী খাবার খেয়ে ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী নিয়ে অনুষ্ঠান করায় ও আমাদের দাওয়াত না দেয়ায় আমরা খাবার খেয়ে ফেলেছি। কিন্তু কোন খাবার নষ্ট করিনি।
ন.ম.ম আমজাদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মী মাদ্রাসার সভা কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষক, কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের গালাগাল করেন। পরে তারা অতিথিদের জন্য রান্না করা খাবার খেয়ে ফেলেন। অবশিষ্ট খাবারে তারা টিস্যু, উচ্ছিষ্ট খাবার ও নোংড়া পানি ফেলে নষ্ট করেছেন। তিনি আরো বলেন, খাবার শেষে তারা আমাদের দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। ভয়ে আমার বিষয়টি কাউকে জানাইনি। এমন গর্হিত কাজের সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতাকর্মীদের শাস্তি দাবী জানান তিনি।
আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মৃধা এমন গর্হিত কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত গর্হিত কাজ। এমন বিতর্কিত কাজের সঙ্গে জড়িত বিএনপির যেই নেতাই হোক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। দলীয়ভাবে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধের কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।



