সড়কজুড়ে গর্তের রাজত্ব, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৭ এএম
নান্দাইলের পুড়াবাড়িয়া গ্রামে সড়কের বিশাল অংশ জুড়ে তৈরি হওয়া গর্তে পানি জমে পুকুরের আকার ধারণ করেছে। ছবি : সংগৃহীত
ময়মনসিংহের নান্দাইল-হোসেনপুর সড়কের নান্দাইল অংশজুড়ে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে শত শত ছোট-বড় গর্ত। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে কোথাও এক ফুট, কোথাও পাঁচ ফুট, আবার কোথাও পুরো পুকুরের মতো পানি দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে দুই উপজেলার হাজারো যাত্রী ও চালককে প্রতিদিন চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নান্দাইল থেকে ঢাকাগামী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। গর্তে পড়ে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, বিশেষ করে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, নান্দাইল-বাকচান্দা আট কিলোমিটার সড়কের মধ্যে নান্দাইল থেকে জামতলা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার অংশের জন্য ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং পুরো আট কিলোমিটার অংশের জন্য ১১ কোটি টাকার ইস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১০ বছরেও সড়কের নান্দাইল সদর থেকে জামতলা পর্যন্ত অংশে কোনো সংস্কার হয়নি। আর জামতলা থেকে বাকচান্দা পর্যন্ত বাকি পাঁচ কিলোমিটার চার বছর আগে সংস্কার করা হলেও ঠিকাদারী অনিয়মে দ্রুতই নষ্ট হয়ে গেছে সেই অংশটিও।
স্থানীয় একজন অটোচালক আবুল হোসেন বলেন, ভাইরে, রাস্তার কথা কী কইবাম! গর্ত আর গর্ত। এই রাস্তা দিয়া যাইতেই মন চায় না। তার পরও পেটের দায়ে বের হইছি। নতুন অটো গাড়িটা গর্তে পড়ে পড়ে ঝক্কর-ঝক্কর হয়ে গেছে।
সড়কের পাশেই দোকান চালান পুড়াবাড়িয়া গ্রামের মো. হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, “আমার দোকানের পাশেই বিশাল গর্ত হয়ে পানি জমে আছে। পৌরসভা থেকে সামান্য কিছু ইট ফেলে রেখে গেছে, কিন্তু পানি এখনো জমে আছে। আমাদের কর্মচারীরাই অনেক সময় পড়ে যাওয়া অটোরিকশা তুলে দেয়।
নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বিশ্বাস বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা ইতোমধ্যে প্রথমে তিন কিলোমিটার এবং পরে পুরো আট কিলোমিটার সড়কের জন্য আলাদা দুটি ইস্টিমেট পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারকাজ শুরু করব।
স্থানীয় জনগণের দাবি, সড়কটি দ্রুত সংস্কার না হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়বে।



