হিলি বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত ৪৮ হাজার টন চাল আমদানি
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ এএম
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে শুল্কমুক্ত চাল। ছবি: সংগৃহীত
দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি হচ্ছে। গেল ১২ আগস্ট থেকে এ আমদানি শুরু হয়। প্রথমদিকে প্রতিদিন ২০–২৫ ট্রাক চাল আসলেও চাহিদা বাড়ায় বর্তমানে ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক চাল আমদানি হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, ১২ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ১৩৬ ট্রাকে ৪৮ হাজার ৪৭১ টন চাল আমদানি হয়েছে। আমদানি বাড়ায় বাজারে সব ধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে চিকন জাতের চালের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে, ফলে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে জানা যায়, এখান দিয়ে মূলত ভারত থেকে সম্পা কাটারি, মিনিকেট, ৪০/৯৪ ও স্বর্ণা-৫ জাতের চাল আসছে। আমদানির শুরুতে প্রতি কেজি সম্পা কাটারি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬৬ টাকা। ৪০/৯৪ চাল ৬০ টাকা থেকে নেমে হয়েছে ৫৭ টাকা, আর মোটা জাতের স্বর্ণা-৫ চাল ৫২ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
ঢাকা থেকে চাল কিনতে আসা ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ বলেন, এখানকার চালের মান ভালো এবং দামও কম। তাই এখান থেকে কিনছি। গত কয়েক দিনে প্রায় ২ হাজার টন চাল কিনেছি। যে পরিমাণ চাল আসছে, তাতে দাম আরও কমবে। নাটোরের ব্যবসায়ী মামুন বলেন, হিলি বন্দরে চাল কিনতে সুবিধা হয়। ট্রাকেই চাল দেখে দাম ঠিক করা যায়, গুদামে গুদামে ঘুরতে হয় না। এতে হয়রানিও এড়ানো যায়।
আমদানিকারক নুর ইসলাম জানান, সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক চাল আমদানি হচ্ছে। এর ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং কেজিতে ৩–৪ টাকা কমেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্যান্য বন্দরে আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমবে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এমআর জামান বাঁধন বলেন, আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়করণে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। যেহেতু চাল আমদানিতে শুল্ক নেই, শুধু ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিয়েই ব্যবসায়ীরা চাল খালাস করতে পারছেন।



