Logo
Logo
×

সারাদেশ

পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে মিলল ৩২ বস্তা টাকা

Icon

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১০:২২ এএম

পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে মিলল ৩২ বস্তা টাকা

ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে আবারও রেকর্ড পরিমাণ দান পাওয়া গেছে। সাধারণত তিন মাস অন্তর দানবাক্স খোলা হলেও এবার চার মাস ১৭ দিন পর শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে একযোগে ১৩টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়। সেখান থেকে পাওয়া গেছে ৩২ বস্তা ভর্তি টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।

সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ায় প্রায় ৫০০ জনের একটি দল গণনার কাজে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা, মাদ্রাসাশিক্ষার্থী, মসজিদ কমিটির সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গণনার কাজ চলছে মসজিদের দ্বিতীয় তলায়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, এবার রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। গণনার কাজে রূপালী ব্যাংক ও স্থানীয় দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যুক্ত রয়েছেন।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাওয়া যায়। গত বছরের ৩০ নভেম্বর দানবাক্স খুলে ৮ কোটি ২১ লাখ টাকার বেশি সংগ্রহ হয়েছিল। আরও আগে ১৭ আগস্ট দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি।

প্রায় আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনি ও বিশ্বাস। জনশ্রুতি আছে, একসময় এক আধ্যাত্মিক সাধক এখানে বসবাস করতেন। তার মৃত্যুর পর এলাকাবাসী এ স্থাপনাটিকে ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বিশ্বাস ও মানতের কারণে মসজিদে বিপুল দান জমা হতে থাকে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ এখানে দান করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও।

পাগলা মসজিদের দান থেকে প্রাপ্ত অর্থ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও সমাজকল্যাণমূলক খাতে ব্যয় করা হয়। করোনাকালীন সময়ে এ অর্থ থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবকদেরও অনুদান দেওয়া হয়েছিল।

বর্তমানে মসজিদ প্রাঙ্গণ ৩ একর ৮৮ শতাংশ জমিতে বিস্তৃত। দেশের অন্যতম আয়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স। এখানে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। নির্মাণ শেষ হলে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন