প্রতিপক্ষের হামলায় আগুনে ঘরবাড়ি পুড়ে সর্বস্ব
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
কিশোরগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলা ও আগুনে ঘরবাড়ি পুড়ে সর্বস্ব হয়েছে একটি পরিবার। কিন্তু ঘটনার ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্তরা অধরা রয়েছে অদৃশ্য প্রভাবে৷ ঘটনার পর ভুক্তভোগী মামলা করলেও আসামী গ্রেফতার না হওয়াতে উল্টো নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে পরিবারটি৷
ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের। এই ঘটনার পর প্রতিপক্ষের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী। এদিকে ঘটনার ১৮ দিন পার হলেও আজো পর্যন্ত একজন আসামি গ্রেফতার না হওয়াতে তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ বলছেন মামলার বাদী পারভীন আক্তার ৷ এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী পারভিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তার ছোট ছেলে সাকিব স্কুল থেকে উপবৃত্তির এক হাজার টাকা নিয়ে মেলায় যাওয়ার পথে শ্রীমন্তপুর এলাকার কয়েকজন যুবকের হাতে মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বড় ছেলে রাকিব প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা তৈরি হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (০৮ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল মেম্বার এর ছেলে মো. তুষার (২০) ও তার পিতা মৃত পাষাইন্যার ছেলে বিল্লাল মেম্বার (৪৮), আকবর আলীর ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৪০) ও তার ছেলে মো. বায়েজিত (২১), শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মধুর ছেলে মোঃ আজহারুল ইসলাম (৩৫), মো. রমজান মিয়ার ছেলে মো. তুহিন (২০) এর নেতৃত্বে ২০/২২ সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা পারভিন তার স্বামী কাজল ও পুত্র মো. রাকিবের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে কাজলকে রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে বাম হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে জখম করে। এসময় পারভিন তার স্বামী কাজল ও ছেলে মো. রাকিব ঘর থেকে দৌড়ে উঠানে আসলে আসামি তুষারের হাতে থাকা বোতলের পেট্রোল বসতঘরে ছিটিয়ে দেয় এবং আসামি বাবুল ম্যাচ দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের বাড়ির মানুষ এসে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি আগুনে পুরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি ৷
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে যাওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী মো. মানিক চৌকিদারের মুদির দোকান এবং তার ছেলের একটি চৌচালা টিনের ঘরের বেড়া রামদা দিয়ে কুপিয়ে নষ্ট করে। ফলে তারা স্বামী-সন্তান নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পারভিন আক্তারের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পারভিন আক্তার, স্বামী কাজল মিয়াসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷



