বিরল স্থলবন্দর
দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। করোনা মহামারির সময় অল্প কিছুদিন ভারতীয় মালবাহী ট্রেন চলাচল করলেও বর্তমানে কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম নেই। রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান ও রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা থমকে গেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাস্টমস অফিস ভবন নির্মিত হলেও তা তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে; নেই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি। রেললাইনের পাশে ঝোপঝাড় আর গবাদি পশুই এখন দৃশ্যমান।
স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদ আলী বলেন, করোনার সময় কিছু ট্রেন আসলেও পরে আর আসেনি। ভেবেছিলাম রেল চালু হলে এলাকার ভাগ্য বদলাবে, কিন্তু এখন মাঠজুড়ে কেবল ঝোপঝাড়।
ব্যবসায়ী মইনুদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেললাইন, কাস্টমস অফিস, চেকপোস্ট সবই আছে। শুধু কার্যক্রম নেই। বন্দর সচল হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রাণ ফিরত।
একজন বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি) সদস্য জানান, দুই বছর আগে দায়িত্বে এসেছি। আজ পর্যন্ত এই লাইনে কোনো ট্রেন চলাচল দেখিনি।
বিরল স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, করোনাকালে কিছু ট্রেন চললেও পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়। ভারতীয় অংশে রেল যোগাযোগ থাকলেও বাংলাদেশের অংশে সাইট লাইন নেই, ফলে আনলোড-লোড করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ এখানে রাজস্ব আয়ের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার উদ্যোগ নিলে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব এবং বন্দরটি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।



