ভোমরা স্থলবন্দরে সীমিত পেঁয়াজ আমদানি, তবু বাজারে দাম কমছে না
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারত থেকে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি থাকলেও নতুন কোনো ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেওয়া হচ্ছে না। ফলে কেবল আগের আইপি পাওয়া আমদানিকারকরাই সীমিত আকারে পণ্য আনতে পারছেন। কিন্তু এত আমদানির পরও খুচরা বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২৭ মার্চ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। পরে অতিবৃষ্টিতে স্থানীয় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে সবজির দামের সঙ্গে পেঁয়াজের দামও বাড়তে থাকে। সাতক্ষীরার বাজারে একসময় কেজিপ্রতি দাম ৮০ টাকায় পৌঁছে যায়।
দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৭ আগস্ট থেকে পুরোনো আইপি থাকা ব্যবসায়ীরা আবার আমদানি শুরু করেন। ওই দিন সাতটি ট্রাকে ২০২ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে। এরপর পাঁচ দিনে আরও ১২৬ ট্রাকে ৩ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসে। তবে সরবরাহ বাড়লেও খুচরা বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভোমরায় প্রতি কেজি ৪৫–৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে না থেকে সরাসরি রাজধানী ও বড় শহরে চলে যাচ্ছে। এতে সাতক্ষীরার সাধারণ ক্রেতারা মূল্য হ্রাসের সুফল পাচ্ছেন না।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, আগের আইপি অনুযায়ী আমদানি চলছে, কিন্তু নতুন অনুমতি না দেওয়ায় সরবরাহ সীমিত থাকছে। দ্রুত নতুন আইপি না দিলে বাজারে সংকট আরও বাড়বে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরবরাহ বাড়াতে হলে নতুন আইপি দ্রুত দিতে হবে। পাশাপাশি কঠোর বাজার তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে, আমদানিকৃত পণ্য রাজধানীমুখী না হয়ে স্থানীয় বাজারেও পৌঁছায়। তাদের মতে, সরবরাহ সীমিত থাকলে দামও বাড়তেই থাকবে, ফলে সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ী দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন না।



