ছবি-যুগের চিন্তা
বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতাস্তর স্বাভাবিক হয়ে যায়। যার ফলে ক্প্তাই বাধেঁর ১৬টি জলকপাট তিন দিনের মাথায় দ্বিতীয় বারের মতো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
তিনি জানান, ভারি বৃষ্টিপাত না থাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যায়। তাই শনিবার বিকেল থেকে ১৬টি জল কপাট ফের বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮ দশমিক ১৫ ফুট মীনস সি লেভেল। এর আগে গত বুধবার ১০৮দশমির ৩৫ এমএসএল হওয়ায় হ্রদের পানি বিপদ সীমায় যাওয়ায় ওইদিন রাত ৮টায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি উঁচু করে খুলে দেয়া হয়েছিল । এর ফলে কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হয়েছিল।
এর আগে গত ৪ আগস্ট সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে প্রথম জরুরী ভিত্তিতে বাধেঁর ১৬ জলকপাট ছয় ইঞ্চি করে খুলে দিয়েছিল। এর মধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.৫৫ এমএসএল অতিক্রম করে চুড়ান্ত বিপদসীমায় পৌঁছার কারণে আরও ১ফুট পানি স্পিল ওয়ে দিয়ে ছাড়া হয়েছে।
এর পরও পানির প্রবাহ রোধ করার জন্য সাড়ে তিন ফুট করে স্পিল ওয়ে খুলে দেয়া হয়েছিল। ৭দিন পর বাধেঁর জলকপাট বন্ধ করার পর ফের বুধবার রাত ৮টা থেকে খুলে দেয়া হয়েছে । যা শনিবার বিকাল ৫টায় ফের বন্ধ করা হয়েছে। বাঁেধর পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে মাত্র ১০৯ এমএসএল। এবার ভারী বর্ষণ হওয়ায় হ্রদ তীরের মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেন, হ্রদে পানি বাড়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই বর্তমানে পুরোপুরি সচল রয়েছে।৫ ইউনিটের টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যার মাধ্যমে সেকেন্ডে আরোও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।



