টাকা না দেয়ায় অভিমানে ছেলের আত্মহত্যা
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
টাকা না দেওয়ায় বাবার সঙ্গে অভিমান করে ছেলে সাকিব মন্ডল (২৮) গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার দুপুরে পুলিশ আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকায় ইউপি সদস্য জসিম গাজীর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি অফিস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত সাকিবের বাড়ী ঝিনাইদহ উপজেলার বারিবাথার গ্রামে।
জানাগেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বারিবাথান গ্রামের কালাম মন্ডলের ছেলে সাকিব মন্ডল গত শরিবার সকালে বাড়ী থেকে একটি বাই সাইকেল বিক্রি করে পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা যায়। পরে আমতলী এসে বাবাকে কিছু টাকা পাঠাতে ফোন দেয়। বাবা টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরে বাবা কালাম মন্ডল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি ব্যবসায়ী জসিম গাজীকে তার ছেলেকে ওইদিন রাতে রাখার অনুরোধ করেন। জসিম গাজী তার ছেলেকে রাতে তার এজেন্সি অফিসে রেখে বাড়িতে যান। ওই রাতেই সাকিব বাবার সঙ্গে অভিমান করে কাপড় পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার সকালে জসিম গাজী তাকে তুলতে ডাকাডাকি করেন কিন্তু তার কোন সারাশব্দ না পেয়ে বাবা ও পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত সাকিব মন্ডলের বাবা কালাম মন্ডল বলেন, আমি একজন ট্রাক চালক। আমার সঙ্গে জসিম গাজীর ব্যবসার সুবাদে পরিচয় আছে। আমার ছেলে সাকিব ব্যবসায় লোকসান দিয়ে মানষিকভাবে ভেঙ্গে পরেছে। গত শনিবার সাকিব একটি বাই সাইকেল বিক্রি করে বাড়ী থেকে রাগ করে কুয়াকাটা যায়। পরে আমতলী এসে আমার কাছে টাকা চেয়ে ফোন দেন। আমি টাকা না দিয়ে জসিম গাজীকে তার ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি অফিসে রাতে রাখার অনুরোধ করেছি। পরে জানতে পাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি ব্যবসায়ী জসিম গাজী বলেন, ট্রাক চালক কালাম মন্ডলের অনুরোধে তার ছেলেকে রবিবার রাতে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি অফিসে রেখেছি। সকালে তাকে তুলতে অনেক ডাকাডাকি করি। কিন্তু তিনি ঘরের দরজা খুলছে না। পরে পুলিশ ও তার বাবাকে জানাই। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) সাইদুল ইসলাম বলেন, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।



