৫৫ হাজার টাকায় মোবাইল কিনে না দেয়ায় ছাত্রের আত্মহত্যার চেষ্টা
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
৫৫ হাজার টাকায় অটোচালক বাবা মোবাইল কিনে না দেয়ায় ছেলে সাব্বির মোল্লা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় সাব্বির প্রাণে বেঁচে যায়। দশম শ্রেনীর ছাত্রের এমন কর্মকান্ডে পরিবার ও এলাকাবাসী হতবাক। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার দক্ষিণ ঘটখালী গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার দক্ষিণ ঘটখালী গ্রামের ওমর ফারুক মোল্লার একমাত্র ছেলে সাব্বির মোল্লা সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে লেখাপড়া করে। বাবা আমতলী পৌর শহরে অটো রিকসা চালিয়ে সংসার পরিচালনা করেন। গত কয়েকদিন ধরে ছেলে অটোচালক বাবার কাছে ৫৫ হাজার টাকায় মোবাইল কিনে দেয়ার বায়না ধরেন। কিন্তু অটোচালক বাবার পক্ষে এতো টাকায়
মোবাইল কিনে দেয়া সম্ভব হয়নি। এতে বাবার সঙ্গে অভিমান করে ছেলে সাব্বির। বৃহস্পতিবার সকালে সাব্বির ১০ টি ঘুমের ঔষধ ও সঙ্গে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি জানতে পেরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে হকের চিকিৎসা সেবায় ওই ছাত্র প্রাণে বেঁচে যান। দশম শ্রেনীর ছাত্রের এমন কর্মকান্ডে পরিবার ও এলাকাবাসী হতবাগ।
দশম শ্রেনী ছাত্র সাব্বিব মোল্লা বলেন, বাবার কাছে ৫৫ হাজার টাকায় মোবাইল কিনে দেয়ায় বায়না ধরেছিলাম কিন্তু বাবা মোবাইল কিনে দেয়নি। তাই বাবার সঙ্গে অভিমান করে ১০ টি ঘুমের ঔষধ ও কিছু কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। তিনি আরো বলেন, আসলে আমার ভুল হয়েছে। আমি বুঝতে পারিনি। আমার বাবার পক্ষে এতো টাকা দিয়ে মোবাইল ফোন কিনে দেয়া সম্ভব না।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, কীটনাশক পান করা এক ছাত্রকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখন তিনি সুস্থ্য আছেন।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



