তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর, পানিবন্দি পাঁচ হাজার পরিবার
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৭ এএম
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৫২.২২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে।
ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম জানান, উজানের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে তিস্তার পানি বাড়ছে। ইতোমধ্যেই নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে, আর সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। পাউবো কর্মকর্তারা সতর্কাবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
পানিবৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী এবং জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, সবচেয়ে বড় চর গ্রাম ঝাড়সিংশ্বরসহ কয়েকটি চর এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে।
এ প্রভাব পড়েছে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলাতেও। নদীবেষ্টিত চর ও গ্রামগুলোতে হাঁটুসমান পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন।
ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, গতকাল সারাদিন পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও আজ সকাল থেকে তা ৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে পানি আরও বাড়তে থাকায় সব স্লুইসগেট খোলা রাখা হয়েছে।



