Logo
Logo
×

সারাদেশ

রূপগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে ৪০ গ্রামের লাখো মানুষ পানিবন্ধি, পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত ৫ শতাধীক

Icon

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম

রূপগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে ৪০ গ্রামের লাখো মানুষ পানিবন্ধি, পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত ৫ শতাধীক

ছবি : রূপগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে ৪০ গ্রামের লাখো মানুষ পানিবন্ধি

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ৪০ গ্রামের প্রায় লাখো মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতা বন্যায় রুপ নিয়েছে। এতে করে প্রায় ৫ শতাধীক নারী-পুরুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। জলাবদ্ধতায় পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেন স্থানীয় মাছ চাষীরা। দেখা  দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।  বসতবাড়ি, হাটবাজার, দোকানপাটে পানি ঢুকেছে। রাস্তায় জমেছে হাঁটুপানি। এমনকি বন্যা-পরিস্থিতির উপক্রম হয়েছে কিছু এলাকায়।

বিভিন্ন আবাসন কোম্পানিসহ বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী মহল বালু ফেলে ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি পানি নিষ্কাশন সরকারী খাল ভরাট করায় এ জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।  স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুদিন ধরে পল্লী বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় এবং অতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারণে পানি সেচতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড । যার ফলে পানি আগের অবস্থায় রয়ে গেছে।

রবিবার (১০ আগস্ট ) সড়েজমিনে ঘুরে  দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

অপরিকল্পিতভাবে খাল ভরাট, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল দখল ও বাড়িঘর নির্মাণ করাই জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ বলে মনে করেন স্থানীয়রা। পানি নিষ্কাশনে যাত্রামুড়া ও বানিয়াদির পাম্প হাউসগুলো কোনো কাজে আসছে না বলেও তাদের অভিযোগ রয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেচ প্রকল্পের মাসাব, বরপা বাগানবাড়ি, সুতালড়া, আড়িয়াব, তেতলাব, কর্ণগোপ, মৈকুলী, ভায়েলা, পাঁচাইখা, মোগড়াকুল, পবনকুল, বরাব, খাদুন, যাত্রামুড়া, গোলাকান্দাইল, বিজয়নগর, বলাইখা, উত্তরপাড়া, মিয়াবাড়ি, নামাপাড়া, দক্ষিণপাড়া, নাগেরবাগ, ৫ নম্বর ক্যানেল, রূপসী, হাটাবো টেকপাড়া, কালাদি, নলপাথর, নরাবো, কোশাব, আইতলা, ডুলুরদিয়া, গন্ধর্বপুরসহ  বেশ কয়েকটি নিচু এলাকায় প্রায় লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

১৯৮৪ সালে ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অগ্রণী সেচ প্রকল্প-১ এবং ১৯৯৩ সালে শতকোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি ঘিরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই এ প্রকল্পের ভেতরে শুরু হয় জলাবদ্ধতা। জনবসতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনদুর্ভোগ। টানা বৃষ্টিতে দুটি সেচ প্রকল্প এলাকার কোথাও জমেছে হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অপরিকল্পিতভাবে মিল-কারখানা গড়ে উঠে অগ্রণী সেচ প্রকল্প এলাকা পরিণত হয়েছে আবাসিক ও শিল্প এলাকায়। সেই থেকে দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। বসতি আর কারখানার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জলাবদ্ধতাও। বর্তমানে সেচ প্রকল্প দুটির কৃষিজমিতে পানি সেচের তেমন ব্যবস্থা নেই। এসব কৃষিজমিতে ঘরবাড়ি ও শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। এখন প্রকল্প দুটিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা দ্রুত করা দরকার। অগ্রণী সেচ প্রকল্পের যাত্রামুড়া পাম্প হাউস থেকে বরপা সেতু হয়ে একটি মূল খাল সেচ প্রকল্পের বানিয়াদী এলাকা দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে সংযুক্ত হয়েছে। 

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গত কয়েক বছরে বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পসহ প্রভাবশালীরা খালগুলো ভরাট করে মার্কেট, ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ও পানি সরাসরি ফেলা হয় বলে খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে দুটি প্রকল্প এলাকার জনগণের পিছু ছাড়ছে না জলাবদ্ধতা। 

কাঞ্চন পৌরসভার হাটাবো টেকপাড়া, কালাদি, নলপাথর, নরাবো, কোশাব, আইতলা, ডুলুরদিয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের কৃষি জমিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ২০টি খাল রয়েছে। এসব খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি সড়ে যেতো। বেশ কয়েক বছর ধরে ইষ্টউড সিটি নামের একটি আবাসন প্রকল্প পানি নিষ্কাশন সরকারী খাল গুলো ভরাট করে দখলে নিয়ে গেছে। এতে করে বৃষ্টি হলেই পানি আটকে গিয়ে জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে এলাকা গুলো।

বিশেষ করে, হান্ডি মার্কেট হতে ডেওরি বিল পর্যন্ত খাল, মুকসুর বাড়ি থেকে মগার বাড়ি পর্যন্ত চিপা খাল, কালাদি থেকে ভুলতা বড় খাল, বাড়ৈপাড় থেকে ডুলুরদিয়া হয়ে নলপাথর খাল, ইকবালেরটেক থেকে নরাব খাল এবং নরাব থেকে নলপাথর পানি নিষ্কাশন খালটি বালু ভরাট করে বন্ধ করে ফেলা হয়েছে।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে এখন ওই ৭টি গ্রামে জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকায় বেশ কয়েকটি পাঁকা রাস্তা ডুবে গেছে। ময়লা ও আবর্জনাযুক্ত এসব পানিতে শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে নারী-পুরুষরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। গত কয়েক দিনে প্রায় অর্ধশতাধীক মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এসব গ্রামের মানুষ এ সমস্যায় ভুগছেন প্রায় ৫ বছর ধরে। 

নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষার্থী ইমান হোসেন, আলী মোহাম্মদসহ আরো অনেকে জানান, তাদের মাদ্রাসায় যাওয়ার রাস্তাটি ডুবে গেছে। কোন স্থানে হাটু পানি আবার কোন কোন স্থানে কোমড় পানি। পানি ভেঙ্গে ভিজেই তারা মাদ্রাসায় আসছেন। এতে করে তাদের লেখাপড়া চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে।

কর্ণগোপ এলাকার বাসিন্দা সোবহান মিয়া জানান, একে এক ক্রটিপূর্ণ হয়ে পড়ে অগ্রনী সেচ প্রকল্পের খালগুলো। শিল্প মালিক ও এক একশ্রেনীর দানবের দল নিজ স্বার্থ হাসিল করতে খালগুলো ভরাট করে ফেলছে। যার ফলে আমরা আজ নিদারূণ দিনাতিপাত করছি। কবে এখান থেকে মুক্তি পাব উপরওয়ালা ছাড়া আর কেউ জানেন না।

বলাইখা এলাকার মুদী দোকানী সুজন মিয়া জানান, পানি জমে থাকার ফলে রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। কোমর পানিতে তো আর গাড়ি চলে না। কখনো ভ্যান বা কখেনা কোলে তুলে বহু কষ্টে হাসপাতালে নিতে হয় রোগীরা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের এই দূর্ভোগ থেকে আমরা অবসান চাই।  

আফসানা আক্তার নামে বরপা এলাকার এক বাসিন্দা জানান, জনবসতি আর কারখানার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিবছরে জলবদ্ধতার সময়সীমা বাড়ছে। আগে সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার পর পানি জমতো রাস্তায় এখন মাত্র এক থেকে দেড় ঘন্টা বৃষ্টি হলেই  বাসা থেকে বের হওয়া যায় না। রাস্তায় বাসার উঠানে পানিতে থই থই করে। দেখে মনে হবে কোন একটা বিলের মাঝে আমাদের বসবাস।  

মৈকুলী গ্রামের বাসিন্দা রোজা আক্তার বলেন, আমরা প্রায় প্রতি বর্ষায় পানির নিচে ডুবে থাকি। সামান্য বৃষ্টি হলেই শান্তি নগরের মানুষ শান্তিতে থাকে না। রাস্তা-ঘাট, ঘরের উঠানসহ পানি ভেসে যায়। স্কুলগামী শিশু, অফিসগামী মানুষ, রোগী সবাই ভোগান্তিতে পড়ে।

তিনি বলেন, বর্ষা আসলেই আমরা আতঙ্কে থাকি। রাস্তাঘাটে সবসময়ই পানি জমে থাকে, আর বৃষ্টি হলে সেই পানি ঢুকে পড়ে ঘরের ভেতরেও। খালের পানি কালচে হয়ে থাকে শোনা যায় কেমিক্যাল মিশ্রিত বর্জ্য পানি মিশে একাকার হয়ে যায়।  বিশেষ করে চর্মরোগ, এলার্জি, ঘা, চুলকানি লেগেই থাকে। জ¦র, ঠান্ডা, কাসিতো নিত্য দিনের সঙ্গী আমাদের।

ফরিদা আক্তার নামে এক বাসিন্দা বলেন, বছরের পর বছর ধরে একই সমস্যা চললেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেন সংশ্লিষ্টরা। একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা হলেও বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে দুর্ভোগকে মেনে নিচ্ছে। অনেকেই বলছেন, জলাবদ্ধতা যেন আমাদের নিয়তি হয়ে গেছে।

 নাগের বাগ এলাকার বাসিন্দা রহিম মিয়া বলেন, বৃষ্টি শুরু হলেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়। কোমর পানি পার হয়ে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতে হয়। দোকানে পানি, অফিসে পানি জীবনটা যেন থমকে যায়। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান নেই।

গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদেল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি মানুষের বসবাস ৫ নম্বর ক্যানেল ও নতুন বাজার এলাকায়। এখানে বিভিন্ন শিল্প-কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বাস করে। জলাবদ্ধতা ঠেকাতে তারা খালগুলো পরিষ্কার করছেন। পরিষ্কার না করলে জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেবে। এ ছাড়া বাঁধের ভেতরে নিচু এলাকাগুলোয় উঁচু এলাকার পানি এসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে।

একাত ব্লাড ফাউন্ডেশন ও সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি মহসিনুল হক বলেন, বৃষ্টির কারণে গোলাকান্দাইল নতুন বাজার সড়ক ডুবে গেছে হাঁটুপানিতে। পানি ভেঙে এখানকার মানুষ চলাফেরা করছে। অনেকে বৃষ্টির কারণে দোকানপাট খুলতে পারছে না। প্রশাসনের কাছে দ্রুত পানি সরানোর দাবি জানান তিনি। 

তারাবো পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম বাদল বলেন, বর্তমানে অতি বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ নোয়াপাড়ায় চরম জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে, এবং এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিনযাপন করছেন। অনেকেই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও মানবিক সহানুভূতির দাবি রাখে।

গোলাকান্দাইল এলাকার মৎস্য চাষী আলী আকবর বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জলবিদ্ধ হয়ে আমার খামারের মাছ ভেসে গেছে। আমার মত অনেকেরই এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আইভি ফেরদৌস বলেন, ইদানিং চর্ম ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।   প্রায় ৫ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা ও ওষুধপত্র দেয়া হয়েছে। তবে, ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত ও কেমিক্যালযুক্ত পানি থেকে সকলকে সাবধান থাকতে হবে। । 

নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ ২ এর জিএম প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ বলেন, গত দুদিন আগে ভূলতা  গ্রীড উপকেন্দ্রে সকালে একবার এবং দুপুরে একবার ফ্লাশিং হওয়ার কারনে জি টি --১ এবং জি টি -২ দুইটি ট্রান্সফরমার বন্ধ হয়ে যায়। ট্রান্সফরমার ২ টি চালু করার কাজ করতে সময় লেগেছে। যার ফলে রুপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও মাধবদী উপজেলায় এই সমস্যার কারনে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। কাজটি খুবই জটিল বিধায় সমাধানে সময় লেগেছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। 

রূপগঞ্জে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, খাল-বিল ভরাট হওয়া, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ও অচল পাম্পমেশিন এই তিনটি কারণেই মূলত জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আপাতত আমরা নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছি জলাবদ্ধতা নিরসনে জন্য আশা করি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান হয়ে। তবে এমন আশার বাণি কয়েক বছর ধরেই দিচ্ছেন তারা।

রূপগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ১১ মাসে ৮টি খাল পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে কয়েকটি খাল পুনঃখনন করেছি। ইস্ট ঊড আবাসন কোম্পানি একটি পুরো খাল দখল করে ভরাট করেছিলো সেটি আমরা উদ্ধার করে আবার পুনরায় খনন করেছি।  আমাদের এখানে সিটি গ্রুপ নামের একটি বড় গ্রুপ  খাল দখল করে মাটি ভরাট করে রেখেছে  ব্যাপারে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে পত্র দিয়েছি তারা কথা দিয়েছে আগামী মাসে উদ্ধার করে দিবে । তিনি বলেন, আমরা খালগুলো দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি পানি নিস্কাশনে টেকসই চিন্তাভাবনা করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে উপ-পরিচালক রাকিবুল আলম রাজিব বলেন, রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো এখানকার অধিকাংশ খাল দখল হয়ে গেছে। বিশেষ করে তারাবো পৌরসভার খালগুলো এখন নানা শিল্পগ্রুপের দখলে। বেশ কিছু কোম্পানি খালের স্বাভাবিক প্রবাহ আটকে রেখেছে। পাশাপাশি কাঞ্চন, ভুলতা, গোলাকান্দাইল এই সব এলাকায় আবাসন প্রকল্প ও সড়ক উন্নয়ন (চার লেন প্রকল্প) কাজের ফলে খালগুলো প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ফলে পানি নিস্কাশন না হতে পেরে জরাবদ্ধতায় রুপান্তরিত হয়েছে। তিনি বলেন,  আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে চেষ্টা করছি দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করতে, যাতে স্বাভাবিক পানি নিস্কাশনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন