Logo
Logo
×

সারাদেশ

সৈকতের ‘লাইফ গার্ড’ কার্যক্রম বন্ধের পথে

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম

সৈকতের ‘লাইফ গার্ড’ কার্যক্রম বন্ধের পথে

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের স্নানরত পর্যটকের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনকারি লাইফ গার্ডের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। রয়াল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট (আরএনএলআই) নামের একটি সংস্থার অর্থায়নে জেলা প্রশাসনের অধিনে সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থা ২৭ কর্মী দিয়ে এই কার্যক্রমটি পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেপ্টেম্বরে। ফলে অক্টোবর থেকে এই কার্যক্রমটি চলবে কিনা তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।

সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন '২০২৪ সালের ডিসেম্বরেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কক্সবাজার জেলা প্রশাসক প্রকল্পটির দাতা সংস্থা রয়াল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট (আরএনএলআই) এর কাছে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চিঠি লিখেছিলেন। তার ভিত্তিতে দাতা সংস্থাটি এ বছরে ৬ মাস পরবর্তীতে আরো ৩ মাস বাড়িয়েছে। সে হিসেবে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তই এ প্রকল্পের কাজ চলবে। প্রকল্পটি যেন চলমান থাকে তার জন্য জেলা প্রশাসক, বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাথে মিটিং এ বলা হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত প্রকল্প বাড়ার সম্ভাবনার কথা শুনিনি। '

সংস্থাটি জানায়, ২০১২ সাল থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে এবং ২০১৪ সাল থেকে পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়। ২৭ জন দক্ষ কর্মী বিভিন্ন শিফটে ভাগ হয়ে সাগরে ভেসে যাওয়া মানুষদের উদ্ধার অভিযানে কাজ করে যাচ্ছে

সাগরে গোসলে নেমে গত এক বছরের ১১ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে ৭৮ জন। গত এক দশকে ৬৩ জনের মৃত্যু এবং ৭৮২ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সমুদ্র স্নান নিরাপত্তায় প্রকল্পটি চালু রাখা জরুরি।

সাগরপাড়ে লাইফ গার্ডের উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ হলে মৃত্যু ঝুঁকিতে পরবে পর্যটকরা এমনটাই মনে করছে পর্যটক ও স্থানীয়রা।


ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আসিফুর রহমান বলেন, 'লাইফ গার্ডের কর্মীরা যেভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের সতর্ক করছে উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য তৎপর রয়েছে তা সত্যিই প্রসংশার দাবী রাখে। তারা না থাকলে পর্যটকরা ঝুঁকিতে থাকবে।'

সিসেফ লাইফ গার্ড টিম লিডার ওসমান গনি বলেন, 'আমরা দীর্ঘ দিন ধরে অল্প বেতনে সিসেফ লাইফ গার্ডের সাথে আন্তরিকতা ও ভালোবাসার সাথে কাজ করে আসছি। সমুদ্র ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলি। আমাদের ২৭ জন কর্মী এখন নিজেদের জীবন জীবিকা নিয়ে যেমন চিন্তিত ঠিক তেমনি সাগরে গোসল করতে আসা পর্যটকদের জীবন নিয়ে শংকিত।

সেন্টার ফর ইনজুরি প্রেভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের সিনিয়র এডভাইজার ড. শাইকুল ইসলাম হেলাল বলেন, 'দাতা সংস্থা বলে দিয়েছে এ প্রকল্পটির মেয়াদ আর বাড়াবে না। ইতিমধ্যে আমরা মন্ত্রণালয় ও সচিবালয়ে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত কোন ধরণের আশা আমরা পাইনি। তবে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক। তিনিও এ প্রকল্পটিকে রাখার জন্য চেষ্টা করছেন।'

বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, 'এ প্রকল্পটি ২০২৪ সালেই বন্ধ হয়ে যেত। আমরা দাতা সংস্থাকে চিঠি দিয়ে এ পর্যন্ত চালাচ্ছি। এ বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোন উত্তর আসেনি। হয়ত তারা আরো বড় পরিসরে চিন্তা করতে পারে।'

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন