সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন
সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ :
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
ছবি - জেলা শহরের আখরা বাজার চত্বরে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন
গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকেরা।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে জেলা শহরের আখরা বাজার চত্বরে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শেখ মাসুদ ইকবালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আহমেদ ফরিদ, প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান চৌধুরী সোহেল, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ফকির মতি, সিনিয়র সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মালেক চৌধুরী। মানববন্ধনে জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কথা উল্লেখ করে মানববন্ধনে বক্তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের দাবি জানান। তারা নির্মমভাবে আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যার বিচারসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
সাংবাদিক আহমেদ ফরিদ বলেন, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংস হত্যার শিকার হন। এ দায়িত্ব রাষ্ট্র এড়িয়ে যেতে পারে না। একই দিনে গাজীপুরে আরেক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার করতে হবে।
সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ বলেন, সাংবাদিক তুহিনের হত্যা কেবল একজন সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ নয়, বরং এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।
সাংবাদিক শেখ মাসুদ ইকবাল বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু বারবার এ ধরনের ঘটনা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের ভূমিকা পালন করে, তাদের ওপর হামলা মানে সত্যকে দমিয়ে রাখা এবং পুনরায় স্বৈরাচারী মনোভাব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা। এই অপরাধের বিচার না হলে সমাজে নৈরাজ্য বাড়বে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক তুহিন। এ সময় হঠাৎ কয়েক সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে ক্ষতবিক্ষত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।



