ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামে প্রবাসী যাত্রীদের টার্গেট করে সক্রিয় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি দুবাইফেরত এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন লুটের ঘটনায় তাদের আটক করা হয়। চক্রটি দেশীয় হলেও নেতৃত্ব ও তথ্য পাচার হতো বিদেশ থেকে।
ঘটনার সূত্রপাত ২৩ জুলাই। দুবাইফেরত মোহাম্মদ সামসু উদ্দিন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিএনজি ভাড়া করে হালিশহরের সাগরপাড় লিংক রোডে যাচ্ছিলেন। পথে ডগিরখাল ব্রিজের কাছে একটি কালো মাইক্রোবাস সিএনজির গতিরোধ করে। এরপর তিনজন অস্ত্রধারী ডাকাত সামসুর কাছ থেকে আনুমানিক ১৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
হালিশহর থানায় মামলা হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে দামপাড়ার পুলিশ লাইনসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, দুবাই থেকে প্রবাসী যাত্রীদের ছবি, আগমনের তারিখ ও অন্যান্য তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠাতো ফয়সাল নামে এক ব্যক্তি। গ্রেপ্তারকৃত সৈয়দ মজিবুল হক সেই তথ্য সংগ্রহ করে মনির উদ্দিনের নেতৃত্বে ডাকাতি সংঘটিত করতেন।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- মো. মনির উদ্দিন (৩৩), সৈয়দ মজিবুল হক (৪৭), মো. আলীম হাওলাদার জাবেদ (৩২), মো. হাসান (৩০), মো. রুবেল (২৭), মো. সুমন (২৬) ও মো. ইমরান মাহামুদুল ওরফে ইমন (২৫)।
ডিসি কবির জানান, প্রথমে মাইক্রোবাসের নম্বর ট্র্যাক করে সেটি পাঁচলাইশ এলাকা থেকে জব্দ করা হয়। এরপর নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবাই একে অপরের ওপর দোষ চাপালেও পরে স্বীকার করে, ডাকাতির পর ছিনতাইকৃত স্বর্ণ পাঠানিয়া গোদা এলাকার এক দোকানে বিক্রি করা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ এবং দুটি দামি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে মজিবুল, হাসান ও রুবেলের বিরুদ্ধে আগেও অস্ত্র, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং দ্রুত বিচার আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।



