‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’- দেশে ফিরেই দুর্ঘটনায় বাহারের পরিবারে ৭ জনের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ওমান থেকে আড়াই বছর পর দেশে ফিরেছিলেন মো. বাহার উদ্দিন। ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, “স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার”। কিন্তু সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই রূপ নেয় ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে চালকের ঘুমে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে যায়, প্রাণ হারান বাহারের মা, স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সাতজন সদস্য।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর এলাকায় চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাশারি বাড়ির ওমান প্রবাসী মো. বাহার উদ্দিনের স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানী ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯), লামিয়া আক্তার (৮) এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে দ্রুতগতির মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে যায়। চালক পানিতে থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। বাহার উদ্দিনসহ পাঁচজন গ্লাস ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারলেও বাকিরা গাড়ির ভেতরে আটকা পড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পানির নিচে ছিলেন।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। চালকসহ মোট ১৩ জন ছিলেন। চালক পলাতক, তবে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে”।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ জানান, “চাঁদপুর থেকে ডুবুরি দল আনার চেষ্টা করা হলেও তার আগেই স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধারকাজ শেষ হয়”।
এই দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের চৌপল্লী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাহার উদ্দিনের আত্মীয় মো. সুমন বলেন, “পুরো পরিবারটা শেষ হয়ে গেল। কীভাবে এই শোক সহ্য করব, জানি না”।



