কমলনগরে দুদকের অভিযান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ খাদ্য সরবরাহকারীকে শোকজ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার (৪ আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর দু'টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সরেজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা বিভাগ, খাদ্য সরবরাহ এবং চিকিৎসকদের নানা অনিয়মের হাতেনাতে খোঁজ পায় দুদক ছদ্মবেশী দল। চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সঞ্জয় ঘোষালের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট দল এ অভিযান পরিচালনা করেন।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযানের আগে এনফোর্সমেন্ট দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে হাসপাতালের আউটডোর ইনডোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে পরিচয় প্রকাশ করে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি, খাবার সরবরাহ ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন।
অভিযান পরিচালনার সময় দুদক টিম দেখতে পায়, মজুত থাকা সত্ত্বেও রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হচ্ছে না এবং রোগীদের থেকে টাকার বিনিময়ে সরকারি ওষুধ দেয়া হয়। টাকার বিনিময়ে রোগি ভর্তি করানো এবং ওয়ার্ড বয় দিয়ে চিকিৎসা সেবার কাজ করানো। অভিযানের সময় কয়েকজন চিকিৎসক কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে হাসপাতালের রোগীদের জন্য সরবরাহ করা খাবার নিম্নমানের এবং ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করা হয়নি।
দুদক টিম আরো দেখতে পায়, রোগ নির্ণয়ের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। আবার কিছু যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও সেবা নিতে গিয়ে রোগীরা বহিরাগত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালে পরীক্ষার যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও বাহিরে অপ্রোয়জনীয় পরীক্ষা দেওয়ার কয়েকটি সত্যতা মিলেছে।
ওষুধের স্টক রেজিস্টার যাচাইয়ের সময় নার্স, স্টক ইনচার্জ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলেও জানায় দুদক। এছাড়া, ছুটিতে থাকা ডাক্তারদের ছুটির আবেদন দেখাতে পারেনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
চাঁদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) উপসহকারী পরিচালক সঞ্জয় ঘোষাল বলেন, ‘অভিযানে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে।চিকিৎসকরা স্থানীয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সঙ্গে যোগ সাজশে কারণে অকারণে অপ্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, আলট্রাস্নোগ্রাম পরীক্ষা দিয়ে রোগীদের হয়রানি, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি করার অভিযোগও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শোকজ করার জন্য সুপারিশ করা হবে এবং কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ বলেন, ‘অভিযান চলাকালে যেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলোর লিখিত জবাব দুদক টিমকে দেয়া হয়েছে।



