দুই নারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি, পরে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর
বরগুনা প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
ছবি - শনিবার রাত ১০টার দিকে বরগুনা শহরের বিবি সড়কে একটি কাপড়ের দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়
বরগুনা পৌর শহরে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে শহরের বিবি সড়কের একটি কাপড়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ব্যবসায়ীর নাম জসীম উদ্দিন। তার ‘ল্যাডিস পয়েন্ট’ নামে একটি দোকান আছে ওই সড়কে। ঘটনার পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, জসীম উদ্দিন তার শিশুসন্তানকে নিয়ে খাবার কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে তার সন্তানের সঙ্গে এক নারী পথচারীর ধাক্কা লাগলে শিশুটি পড়ে যায়। এ ঘটনা নিয়ে জসীমের সঙ্গে দুই নারীর কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উভয়পক্ষকে ডেকে সমাধানের চেষ্টা করেন।
এর মধ্যে ইয়াসমিন তানিয়ার ছেলে সিনহা রহমান, যিনি নিজেকে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেন, কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে জসীম উদ্দিনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এতে বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের দোকানদাররা দোকান বন্ধ করে দেন। ভুক্তভোগী জসীম উদ্দিনের দাবি, সমিতির সালিশে গেলে সবার সামনেই তাকে মারধর করা হয়।
বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনার মীমাংসায় আমরা উভয়পক্ষকে ডেকেছিলাম। কিন্তু বৈঠকের একপর্যায়ে ওই নারীর ছেলে ও তার সঙ্গী দোকানে ঢুকে জসীমকে মারধর করেন। উপস্থিত সবাই মিলে পরিস্থিতি সামাল দিই। এরপর আমরা সব দোকান বন্ধ করে দিই। উপযুক্ত বিচার না হলে কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকান বন্ধ থাকবে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিনহা রহমান বলেন, ‘আমার বোনের সঙ্গে ব্যবসায়ীর শিশুসন্তানের ধাক্কা লাগার পর ব্যবসায়ী খারাপ ভাষায় কথা বলেন। আমার মা প্রতিবাদ করলে তিনি তার সঙ্গেও অশোভন ভাষায় কথা বলেন। পরে আমি বন্ধুদের নিয়ে গিয়ে জসীমকে খুঁজি। সালিশের সময়ও তিনি আমার মাকে অপমান করলে আমি তার কলার ধরেছিলাম, ধস্তাধস্তি হয়েছে। তবে মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। আজ বিকেলে বিএনপির এক নেতা সালিশ করবেন বলে তিনি জানান।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াকুব হোসাইন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



