ভারত থেকে পদ্মায় ভেসে এলো দুই বাংলাদেশির অ্যাসিডে পোড়ানো মরদেহ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
ছবি- সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বাতাসি মোড় এলাকার পদ্মা নদী থেকে অ্যাসিডে পোড়ানো অবস্থায় সফিকুল ইসলাম সফিক (৪৫) ও সেলিম (৩৫) নামে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সফিকের এবং বিকেলে সেলিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ দুটি ভারত থেকে ভেসে এসে সীমান্ত পিলার ৪/২ এস থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাওয়া যায়।
নিহত সফিক শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সেরাজুল ইসলামের ছেলে এবং সেলিম একই গ্রামের মর্ত্তুজার ছেলে।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে নিহতদের পরিবার এখনও বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে গরু আনার উদ্দেশ্যে ভারতে যান একটি চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সফিক ও সেলিম। শনিবার নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা শনাক্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতদের শরীরে অ্যাসিডে পোড়ার চিহ্ন ছিল এবং তাদের মৃত্যু অত্যন্ত নির্মমভাবে ঘটানো হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কৌশল পরিবর্তন করে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
নিহত সফিকুলের বোনের স্বামী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহা. সমির উদ্দীন বলেন, “শফিকুলের শরীরে অসংখ্য ফোসকা ছিল, যা অ্যাসিডে দগ্ধ হওয়ার মতো। তার দাঁতও ভাঙা ছিল।”
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে গত ২৮ জুলাই মনোহরপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে নিহত হন সৈয়বুর আলী নামে আরেক ব্যক্তি। তার সঙ্গী রুহুল আলী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।



